সাফওয়ানা আহমার
আবহ জন্মদিনের আনন্দমুখর পরিবেশ। কিন্তু মনে উকি দিচ্ছ প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদের হৃদস্পর্শ করার মতো চিরায়ত বাণী— ‘জন্মদিনে আনন্দিত হওয়ার কিছুই নেই, জন্মদিন মানে মৃত্যুর দিকে একধাপ এগিয়ে যাওয়া!’ তারপরও জন্মদিন বলে কথা। সেখানে জমেকালো না হোক বিশেষ আয়োজন তো থাকতেই পারে।
হুট করেই ছোট প্রিয় একটি মেয়ে আমার রুমের দরজা খুলে জানালো, ‘আঙ্কেল আজ আমার মায়ের জন্মদিন। ওই ঘরে একটু আসবেন? কেক কাটা হবে।’ ‘ঠিক’ আছে বললাম। একটু পরে আমারবাজার লিমিটেডের অন্যতম পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ ভাইয়ের আহ্বান— ‘ভাই একটু আসবেন?’ আমি বললাম, চেয়ারমান স্যার, এমডি স্যার কি আসছেন? উত্তরে বললেন— হ্যাঁ। আমি চট করে উঠে দাঁড়ালাম। পাশের ঘরে জন্মদিনের জম্পেশ উৎসব আয়োজন দেখে মুগ্ধ হলাম।
আয়োজন আমারবাজার পরিবারের অন্যতম আরএমপি ফারহানা কানিজের জন্মদিন পালনের। কি নেই ছোট আয়োজনের ঘরে! করপোরেট কেক, পিঠা, চপ ও বানানো লাড্ডু, কেক ও পিঠার সরল সমারোহ। ফটোসেশনের জন্য ঝটপট সারিবদ্ধভাবে আমরা দাঁড়িয়ে পড়লাম। যথারীতি কেক কাটা হলো, মৃদুস্বরে বলা হলো ‘হ্যাপি বাথ ডে টু কানিজ’। হয়ে গেল উদযাপন। শেষ হলো কেক-পিঠা-লাড্ডু খাওয়া-দাওয়া। স্বল্প সময়ে এই এক দারুণ উৎসবমুখর আয়োজন। আর সেখানে সুযোগ পেয়ে জানিয়ে দিলামও আজ আমারও ‘সার্টিফিকেটীয় জন্মদিন’। এক পশলা হাততালিতে ঋদ্ধ হলাম। ভালো লাগল মনে অজান্তেই।
মেয়েদের বয়স জানতে নেই। আরএমপির ফারহানা কানিজকে সাহসমুখে সে কথা জিগ্যেসও করিনি। জন্মদিন; মানে স্রেফ জন্মদিনই। মেয়েদের ক্ষেত্রে তম-টম না লিখাই ভালো। এমন জন্মদিনের উপস্থিত ছিলেন আমারবাজার লিমিটিডের চেয়ারম্যান মামুনার রশিদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালন মো. মনিরুজ্জামান, মিডিয়া পরিচালক আরিফ সোহেল, পরিচালক মাকসুদ আজিজ, ডাইরেক্টর মঞ্জুরুল মোর্শেদ, আরএমপি শাহনাজ আজিজ, এমপি লুৎফর রশিদ সালাউদ্দিনসহ অনেক কর্মচঞ্চল রিটেইলার।
কোমল মধুর স্বপ্নরঙিন রোমান্টিক মনের ফারহানা কানিজের কাছে অবশ্যই আমারবাজারের কাজই মূখ্য। তার অবিরাম কর্মস্পৃহা তাকে নিয়ে যাচ্ছে তার স্বপ্নের ঠিকানায়। হয়তো সে কারণেই আমারবাজার লিমিটেডে কানিজ হতে পারেন অনেকের প্রেরণা। জন্মদিনে ফারহানা কানিজ বলেছেন, ‘আমার কাছে কোম্পানির ব্যবসাটাই প্রধান। সামগ্রিক সাফল্য অর্জনের জন্য আমার টিমের সবাইকে একসাথে কাজ করতে চাই। আর সবায় মিলে আমারবাজারকে নিয়ে যেতে চাই সর্বোচ্চ উচ্চতায়।’
দেশকণ্ঠ/আসো