দেশকণ্ঠ প্রতিবেদন : অনলাইন ভিত্তিক ‘মাই ন্যাশনাল আইটি’ কোম্পানির নামে গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় ১০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি মহসিন হায়দার ও তার সহযোগী আলাউদ্দিনকে আটক করেছে মুরাদনগর থানা পুলিশ। রবিবার (৩১ জানুয়ারি) তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
থানা ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ছয় মাস ধরে মুরাদনগর উপজেলা সদরে চলছিল ‘মাই ন্যাশনাল আইটি’ নামের হায় হায় কোম্পানির প্রতারণা। এই সময়ের মধ্যে চক্রের দুই সদস্য মুরাদনগর উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি মহসিন হায়দার ও আলউদ্দিন হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় ১০ কোটি টাকা।
তারা মুরাদনগর উপজেলা সদরের ফায়ার সার্ভিসের পেছনে হুমায়ুন ভিলার তৃতীয় তলায় অফিস ভাড়া নেয়। এই প্রতিষ্ঠানে বসে বায়োফ্লক মাছের প্রজেক্ট, ক্যাটারিং প্রজেক্ট, অনলাইন টিভি চ্যানেল, ন্যাশনাল আইটি সেক্টর, ন্যাশনাল ই-কমার্সসহ ঢাকা এবং গাজীপুরে ৩৬০০ বিঘার ওপর রিসোর্টের নামে শেয়ার বিক্রি করে।
হুমায়ুন ভিলার মালিক জানান, প্রতিষ্ঠানের মালিক মহসিন হায়দার এই অফিস ভাড়া নেন।
ভুক্তভোগী আবু বক্কর জানান, মহসিন হায়দার তার কোম্পানির একটি অ্যাকাউন্ট আবু বক্কর কিং নামে খুলে দেয়। পরে সেই অনলাইন অ্যাকাউন্টে ডলার দিয়ে তার কাছ থেকে নেওয়া হয় ২ লাখ টাকা। প্রথম মাসে তাকে শেয়ারের লভ্যাংশ দেওয়া হয় ১০ হাজার টাকা। পরের মাসেই মাত্র ৬০০ দিনে টাকা দ্বিগুণ হওয়ার লোভে সে এক সঙ্গে ১৫ লাখ টাকা জমা দেয়। এরপর সে আর লভ্যাংশ না দিয়ে টালবাহানা শুরু করে।
আবু বক্করের মতো সাগর মিয়া, কিবরিয়া, সোহাগ মিয়া, মাহবুব সরকার, মোবাশ্বির ভূইয়া, বেলাল হোসেন, আবু হানিফ, জুনায়েদ, আল আমিনের কাছ থেকে পর্যাক্রমে প্রায় ৬৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকাসহ প্রায় ৩০০ সদস্যের কাছ থেকে বিশ্বাস অর্জন করে হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় ১০ কোটি টাকা।
মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাদেকুর রহমান জানান, ৬০০ দিনে টাকা দ্বিগুণ করার লোভ দেখিয়ে ‘মাই ন্যাশনাল আইটি ও অ্যাক্টিভ বাজার’ গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করছিল। তাদের কোনও বৈধ কাগজপত্র ছিল না। কয়েকজন গ্রাহকের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রায় দেড় মাস চেষ্টার পর শনিবার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে চক্রের দুই সদস্যকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আবু বক্কর বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন।
দেশকণ্ঠ/অআ