• শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ০৩:০৩    ঢাকা সময়: ১৩:০৩

শক্তিশালী হয়ে ফিরছে ভারতের বিমানবাহী রণতরী বিক্রমাদিত্য

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : দু’বার অগ্নিকাণ্ডের শিকার হয়েও কর্মক্ষমতা কমেনি ভারতীয় নৌ বাহিনীর বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রমাদিত্যের। কর্নাটকের কারওয়ার বন্দরে প্রয়োজনীয় মেরামতি ও আধুনিকীকরণের কাজ এখন শেষের দিকে। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগামী ৩০ জানুয়ারি আবারও সমুদ্রে ভাসতে পারে বিক্রমাদিত্য। শুরু হবে ‘সি ট্রায়াল পর্ব’। ভারতীয় নৌ বাহিনীর অন্য বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্তেরও এখন চূড়ান্ত সি ট্রায়াল চলছে। এই দুই যুদ্ধজাহাজের উপস্থিতি ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় বলয়ে কৌশলগত ভাবে নয়াদিল্লির অবস্থান মজবুত করবে। বর্তমানে বিক্রমাদিত্যে রুশ যুদ্ধবিমান মিগ-২৯কে ব্যবহার করা হয়। ইতোমধ্যে বিমানবাহী রণতরীটির জন্য আরও আধুনিক নৌ-যুদ্ধবিমান কিনতে সক্রিয় হয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। সূত্রের খবর, ফরাসি রাফাল-এম অথবা যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এফ-১৮ কেনা হতে পারে।
 
গত বছর জুলাই মাসে কারওয়ার বন্দর ছেড়ে সমুদ্রযাত্রার সময় বিক্রমাদিত্যে আগুন লাগে। আগুন নেভাতে গিয়ে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় এক নৌসেনা অফিসারের। ওই ঘটনার পরেই বিক্রমাদিত্যের প্রয়োজনীয় সংস্কার ও আধুনিকীকরণের কাজ শুরু হয়। তারও আগে ২০১৯ সালের এপ্রিলে কারওয়ার বন্দরে ঢোকার মুখে অগ্নিকাণ্ডের শিকার হয়েছিল আইএনএস বিক্রমাদিত্য। সেই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল নৌসেনার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার ডিএস চৌহানের। ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে রাশিয়া থেকে ২৩০ কোটি ডলারে (প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার কোটি টাকা) বিমানবাহী রণতরীটি কিনেছিল ভারত। ২০১৮ সালে বিমানবাহী এই যুদ্ধজাহাজে মেরিন হাইড্রলিক সিস্টেম বসানো হয়। এর ফলে অনেক সহজে এই রণতরী থেকে যুদ্ধবিমান ওঠানামা করতে পারে। ২৮৪ মিটার লম্বা ও ৬০ মিটার চওড়া এই যুদ্ধজাহাজটি ২০ তলা বাড়ির সমান উঁচু। ওজন ৪০ হাজার টন। বিক্রমাদিত্যের ডেকে ৩০টি যুদ্ধবিমান এবং ৬টি হেলিকপ্টার রাখার ব্যবস্থা রয়েছে।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।