• শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ০৩:০২    ঢাকা সময়: ১৩:০২

তুরস্কে আবারও ভূমিকম্পের আঘাত

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : তুরস্কের মধ্যাঞ্চলে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প মঙ্গলবার আঘাত হেনেছে। তুরস্ক ও সিরিয়ায় সোমবার তিনটি ভূমিকম্প আঘাত হানার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মানুষ নিহত হয়। আরও হাজার হাজার আহত হয়েছেন। ধ্বংসস্তুপে আটকে পড়াদের সন্ধানে বিভিন্ন অঞ্চলে উদ্ধার অভিযান চলছে। ইউরো-ভূমধ্যসাগরীয় সিসমোলজিক্যাল সেন্টারের (ইএমএসসি) বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫.৬। ভূমিকম্পটি ২ কিলোমিটার গভীরে ছিল। সোমবার সংগঠিত প্রথম ভূমিকম্পের পর বেশ কয়েকটি আফটারশক হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। মিশিগান টেকনোলজিকাল ইউনিভার্সিটির ব্যবহৃত ভূমিকম্পের স্কেল অনুসারে, ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে ভবন ও অন্যান্য অবকাঠামোর ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। দুটি ভূমিকম্পের পর ২৪৩টি আফটারশক হয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের প্রধান ইউনুস সেজার। এ সময় তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ১৬ হাজার ৪০০ উদ্ধারকর্মী কাজ করছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ অনুসারে, স্থানীয় সময় সোমবার সকালে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পের পর থেকে ৪ বা তার বেশি মাত্রার অন্তত ১০০টি আফটারশক হয়েছে। মূল ভূমিকম্পের সময় যত বাড়ে, আফটারশকের তীব্রতা তত কমতে থাকে। তবে, ৫ থেকে ৬ মাত্রা বা তারচেয়ে বড় আফটারশক এখনো ঘটতে পারে। এগুলো মূল ভূমিকম্পের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত কাঠামোর অতিরিক্ত ক্ষতির ঝুঁকি নিয়ে আসে। এটি উদ্ধারকারী দল ও জীবিতদের জন্য হুমকি স্বরূপ। আফটারশকগুলো দক্ষিণ তুরস্কের ফল্ট জোন বরাবর ৩০০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে হচ্ছে।
 
ভূমিকম্পে দক্ষিণ তুরস্কের ১০টি প্রদেশের এক কোটি ৩০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ইতোমধ্যে তুরস্কেই মারা গেছেন ২ হাজার ৯২১ জন। আর সিরিয়ায় এক হাজার ৪৪৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।  দুই দেশে আহত হয়েছেন ১৭ হাজারের বেশি মানুষ। তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, তুরস্কে মৃতের সংখ্যা কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ২ হাজার ৩৭৯ থেকে  বেড়ে ২ হাজার ৯২১ জনে পৌঁছেছে। তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতাই বলেছেন, তুরস্কের ১০টি প্রদেশে ১৪ হাজার ৪৮২ জন আহত হয়েছেন এবং ৭ হাজার ৮৪০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রায় ৩ লাখ ৩৮ হাজার মানুষ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডরমেটরি ও অন্যান্য স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। সিরিয়ায় সর্বশেষ এক হাজার ৪৪৪ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। দুই দেশ মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ৪ হাজার ৩৬৫ জনে পৌঁছেছে। এদিকে, ভূমিকম্পে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ায় তীব্র ঠান্ডার মধ্যে বহু মানুষকে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাতে হয়েছে। আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণে অনেক মানুষকে জটলা হয়ে বসে থাকার ছবিও তুলে এনেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো। ভূমিকম্পে তুরস্কে অন্তত ৫ হাজার ৬০৬টি ভবন ধ্বংস হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলছে, স্থানীয় সময় সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের গাজিয়ানতেপ শহরে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। ওই ভূমিকম্পের পর আরো অন্তত ৭৭টি আফটারশক (পরাঘাত) অনুভূত হয়, যার মধ্যে তিনটি ছিল রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার বেশি। আবার একটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৫। এদিকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে উদ্ধারকারী দল তুরস্কে এসেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তুরস্ককে সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়াও জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীনসহ বিশ্বের বহু দেশ সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।