• শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ০২:৫৬    ঢাকা সময়: ১২:৫৬

চীনের শান্তি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান ইউক্রেনের

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের এক বছর পূর্তির দিন গতকাল শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ১২ দফার শান্তি প্রস্তাব দেয় এশিয়ার প্রভাবশালী দেশ চীন। তারা যুদ্ধবিরতি এবং রাশিয়ার ওপর ‘একতরফা’ নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ার আহ্বান জানায়। তবে চীন শান্তি প্রস্তাব দেওয়ার একদিন পরই তা প্রত্যাখ্যান করেছে ইউক্রেন। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মাইখাইলো পোদোলিয়াক শনিবার টুইটে প্রস্তাব প্রত্যাখান করে বলেছেন, যদি আপনি নিজেকে গ্লোবাল প্লেয়ার হিসেবে দাবি করেন, তাহলে আপনি অবাস্তব প্রস্তাব দিতে পারেন না। যে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে এবং যুদ্ধে হারবে তার ওপর বাজি ধরতে পারেন না। এটি দূরদৃষ্টিসম্পন্ন না। যে কয়েক দশক ধরে পরিকল্পনা করেছে সে (রাশিয়া) তিন দিনের খেলা খেলে না। চীন, সুযোগ অন্তহীন না ‘
 
নিজেদের শান্তি প্রস্তাবে পারমাণবিক যুদ্ধ এড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে চীন। এছাড়া ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতা রক্ষার কথাও বলেছে দেশটি। এছাড়া পশ্চিমা দেশগুলোও বলেছে, চীন যে শান্তি প্রস্তাবের কথা বলেছে, সেটিতে নতুনত্ব কিছু নেই। এর বদলে গত এক বছর ধরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে তাদের যে অবস্থান ছিল সেটিরই পুনরাবৃত্তি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পরোক্ষভাবে চীনের শান্তি চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছেন। শুক্রবার সংবাদমাধ্যম এবিসির সঙ্গে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানাচ্ছেন। তাহলে এটি কিভাবে ভালো হতে পারে?’
 
‘আমি ওই প্রস্তাবে এমন কিছু দেখিনি, যেটি রাশিয়া ছাড়া অন্য কোনো পক্ষের জন্য লাভজনক হবে।’ চীন বর্তমানে রাশিয়ার পক্ষেই অবস্থান করছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসির আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী সম্পাদক জন সিম্পসন বলেছেন, চীন পুতিনের ‘মুখ বাঁচানোর জন্য’ একটি শান্তি চুক্তি খুঁজে বের করবে। এছাড়া সামরিক জোট ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গও চীনের শান্তি প্রস্তাব নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘চীনের শান্তি প্রস্তাবে জড়িত হওয়ার খুব বেশি অধিকার নেই। কারণ তারা ইউক্রেনের অবৈধ আক্রমণের সমালোচনা করতে পারেনি।’
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।