দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : সিলেটে সাংবাদিকতার শতবর্ষের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নারী নেতৃত্ব পেয়েছে সিলেট জেলা প্রেসক্লাব। সিলেটের প্রবীণ সাংবাদিক অধ্যক্ষ লিয়াকত শাহ্ ফরিদীকে মাত্র ৩ ভোটে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো নারী সভাপতি হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন হাসিনা বেগম চৌধুরী। আর তার পরিষদে সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী নবেল। শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেলে সিলেট নগরীর পূর্ব জিন্দা বাজারের বারুতখানা সিলমার্ট কমপ্লেক্সে সিলেট জেলা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয় রাত ১১টায়। ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায় সভাপতি পদে হাসিনা বেগম চৌধুরী পেয়েছেন ৫৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সিলেটের প্রবীণ সাংবাদিক অধ্যক্ষ লিয়াকত শাহ্ ফরিদী পেয়েছেন ৫৫ ভোট।
সাধারণ সম্পাদক পদে শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী নবেল পেয়েছেন ৭৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দেবাশীষ দেবু পেয়েছেন ৩৬ ভোট। সহ-সভাপতি (প্রথম) পদে মনিরুজ্জামান মনির ৫৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সমকালের মুকিত রহমানী পেয়েছেন ৪৯ ভোট। অপর প্রার্থী এস সুটন সিংহ ১০ ভোট পেয়েছেন। সহ-সভাপতি (দ্বিতীয়) পদে সাঈদ চৌধুরী টিপু ৬১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী সজল ঘোষ পেয়েছেন ৫৩ ভোট। সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে রবি কিরণ সিংহ (মাইস্লাম রাজেশ) ৬২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মো. আব্দুল কাইয়ুম পেয়েছেন ৫০ ভোট। কোষাধ্যক্ষ পদে আনন্দ সরকার ৭৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী সাদিকুর রহমান সাকী পেয়েছেন ৪২ ভোট। ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে একাত্তরের কথার মিঠু দাস জয় ৭৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী সমকালের ইউসুফ আলী পেয়েছেন ৩২ ভোট।
প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে সুলতান সুমন পেয়েছেন ৫৬ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মো. একরাম হোসেন ৫৩ ভোট পেয়েছেন। তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে মো. এনামুল কবীর পেয়েছেন ৫৪ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী রায়হান উদ্দিন পেয়েছেন ৪৯ ভোট। ৫৪ ভোট পেয়ে পাঠাগার সম্পাদক হয়েছেন মো. আবু বক্কর। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মো. আলী আকবর চৌধুরী কোহিনূর পেয়েছেন ৫০ ভোট। দপ্তর সম্পাদক পদে মনিরুজ্জামান রনি পেয়েছেন ৪৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মো. আব্দুল আহাদ ৫৩ ভোট। নির্বাহী সদস্য পদে মো. শাহীন আহমদ ৬৮, মাহমুদ হোসেন ৬০, রণজিৎ কুমার সিংহ ৫৬ ও মো. আনোয়ার হোসেন ৫৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। প্রসঙ্গত, নির্বাচনে দুটি প্যানেল ও স্বতন্ত্রসহ ২৯ জন প্রার্থী অংশ নেন। নির্বাচন পরিচালনায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে ছিলেন সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এ কে এম শমিউল আলম। নির্বাচন কমিশনার ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট মহানগর ইউনিটের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ভবতোষ রায় বর্মন ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী।
দেশকন্ঠ/অআ