• বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ১৭:৩৩    ঢাকা সময়: ০৩:৩৩

ক্রীড়ালেখক ও সময়ের ক্যানভাস

মেজর চাকলাদার (অব.) : ক্রীড়ঙ্গনের হাজারো ঘটনা ক্রীড়ালেখকদের কলমের কাছে বাঁধা রয়েছে। স্মৃতি মেদুর এই ক্রীড়া ক্ষেত্র জীবন্ত হয়ে আসে ক্রীড়ালেখকদের প্রচেষ্টায়।
 
আমি যখন সেনাবাহিনী হকি দলে খেলি তার আগে বহু বছর ছিলাম সোনালি ব্যাংক দলে। ‘৭৬ সনে সেনা একাডেমিতে যাবার আগে খেলেছি আবাহনী ক্রীড়া চক্রে। মেজর মহসিন ছিলেন আর্মি স্পোর্টস কন্ট্রোল বোর্ডের দায়িত্বে। তিনি মারা যান শান্তিবাহিনীর গুলিতে। আমি আর্মিতে যোগদানের পরপরেই তিনি হকি টিমে আমাকে নিয়ে নেন। সেনাবাহিনী দলের হকি খেলোয়াড়রা তিনটি এস স্টামিনা, স্পিড আর স্কিল, এর মধ্যে স্টামিনা আর স্পিডে সিভিল খেলোয়াড়দের থেকে যোজন যোজন এগিয়ে। স্কিলে তাদের ঘাটতি। আমি হকি দলে আসার পর কর্নেল ফেরদৌস দলের কোচিং অমার উপরই ছেড়ে দেন। আমি স্কিল এড়িয়ে ওয়ান টাচ খেলতে বলি। এতে খেলাতে প্রচন্ড গতি আসে, আমি খেলেছি ‘৮৩ পর্যন্ত। আর ১৯৭৮ সনে হেরে যাবার পর ১৯৭৯ সন থেকে এক নাগাড়ে ১৯৮৩ পর্যন্ত সব টুর্নামেন্টের বিজয়ী ট্রফি সেনা স্পোর্টস ক্যাবিনেটে শোভা পায়। ‘৮৫ সনে এশিয়া কাপে আমার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দুর্দান্ত রেজাল্ট করে আর হকির পরিচিতি দেশের কোনায় কোনায় পৌঁছে।
 
ক্রীড়ালেখক সমিতির পুরুস্কারে আমার নাম অন্তত পাঁচবার অনুমোদনের তালিকায় আসে তবে আতাউল হক মল্লিকের একক গো’র ঠেলায় প্রতিবার বাদ পরি। আর এখন কার অবস্থা হলো, ‘ঘর কা মুরগি ডাইল বরাবর।’
 
অনেক ক্রীড়া সাংবাদিক-লেখক বর্তমান নিয়েই তাক দুমাদুম নৃত্যে অভ্যস্ত। যার পেনাল্টি দিতে হলো ফুটবল কিংবদন্তি সালাহউদ্দিনকে। হকি থেকে ফুটবলের পরিচিতি অধিক। দেশব্যাপি হকি পরিচিতি এসেছিল সেই ‘৮৫ সনে আমারই নেতৃত্বে। বর্তমানে যারা ক্রীড়া সাংবাদিক তাদের অধিকাংশই ইন্টারনেট নির্ভর, ফলে দেশের ৩০/৪০ বছর আগের ক্রীড়া-অর্জনে কেইবা সময় নষ্ট করে।
 
সালাউদ্দিন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের প্রতিনিধি। ফুটবল সময় তার ঘাটে বাঁধা। তবে ভুলে যাওয়া আর ব্যক্তি মাস্তানি আমাদের স্বভাব। এদের পাল্লায় অমার মতন সালাউদ্দিনও ধরা খেয়েছেন। সময় এগুতে থাকে, সময়রে পট পরিবর্তন হয় তবে যারা ক্রীড়া পুরস্কারের সাথে জড়িত; তারা থাকেন মহাভাব নিয়ে সুতরাং ‘বৎস, পরিবর্তন আশা করা, ঠিক নেহি।’
“যারা কেড়ে খায় তেত্রিশ কোটি মুখের গ্রাস
যেন লেখা হয় আমার এ রক্ত লেখায়
তাদের সর্বনাশ”।— কোনো দুঃখে কবি নজরুল এ লাইনগুলো লিখেছিলেন। অনেক মিল, তাজ্জব কি বাত!
 
লেখক : সাবেক অধিনায়ক, জাতীয় ও সেনাবাহিনী হকি দল এবং জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত
দেশকণ্ঠ/আসো

  মন্তব্য করুন
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।