• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ১৫:৫৭    ঢাকা সময়: ০১:৫৭

সন্তান মাংস কিনতে বলেছে কিন্তু ইস্টু কিনলেন সলেমান

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : তিন-চারদিন থেকে খুবে ঠান্ডা করেছে। সূর্যডার মুখখান দেখায় যায় না। দ্বিপ্রহরে এগনা (অল্প) আলো দেখাহানে আর দেখা মিলে না। বাতাস খান যে বহেচে, ওইখানই খুব ঠান্ডা লাগেচে। শরীরটা একেবারে হেম (ঠান্ডা) করে দেছে। এই তাহানে সইন্ধ্যার পর আর রিকশা চালাবা পারু না। বাড়িত ছোয়াটা গোশতের (মাংসের) কাথা কহেচে দুই-তিন দিন থেকে। দিনে রিকশা চালাহানে যা হয় তা দিয়া সংসার চলে। এলা ঠান্ডার দিন লোক বেশি বাহির হয় না। এই তাহানে ইনকাম খুবে কম। ভাড়া দিয়া ৩০০ টাকার মতো থাকে। গোশত কিনিবা আসে দেখচু ৭০০ টাকা কেজি। এত টাকা তো আর ইনকাম (আয়) হইলনি। আর পাশত এই ইস্টুলা (গরুর চামড়ায় লেগে থাকা মাংস) বলে ২০০ টাকা কেজি। এই তাহানে এক কেজি এইলা কিনিনু। হাড় হাড্ডি বেশি হবে হোক, স্বাদ তো মিলিবে। আর ছোয়াডাক কহা যাবে যে গোস্ত কিনিছু। বুধবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় শহর থেকে বাড়ি ফেরার পথে ঠাকুরগাঁও রোড রেলস্টেশনের পাশে বসা মাংসের বাজার থেকে ইস্টু কেনার পর ঢাকা পোস্টকে এসব কথা বলছিলেন রিকশাচালক সলেমান আলী। সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের ফকদনপুর গ্রামের বাসিন্দা তিনি। প্রায় বিশ বছর ধরে রিকশা চালাচ্ছেন তিনি। বাড়িতে দুই সন্তান ও স্ত্রী রয়েছে তার। 
 
সলেমান আলী বলেন, জিনিসলার দাম খুবে বাড়ে গেইছে। কোনো জিনিসের দাম ঠিক নাই। খালি হামার রিকশা ভাড়া বাড়ে না। আগুতে দশ টাকা ছিল এলাও ওই দশ টাকায় আছে। পাঁচ টাকা বেশি চাহিলে আরও কত কাথা শুনিবা হয়। তারপরও মোর কোনো অভিযোগ নাই কারহো ওপর। অভিযোগ করিয়া কি করিবেন। এই রকম করে জীবনডা কাটিবে। ছুয়া দুইডাক কহেচু যেন পড়াশোনা করে চাকরি করে। না হয়লে বাপের মতো রোদ আর ঠান্ডাত কষ্ট করিবা হবে। ঠান্ডার দিনত খুবই কষ্ট হয়। লোকজন তো এগারোটা বারোটার আগত বাহির হয় না। কিন্তু মুই বাহির হইলেও লোক পাওনা। দেখা যাক কতদিনে কপালত সুখ আসে। এলা এভাবেই চালাবা হবে জীবনডা। গরুর মাংসের ইস্টু বিক্রেতা রমজান আলী বলেন, এগুলো হলো গরুর চামড়ায় লেগে থাকা, মাথা ও পায়ের অংশ। যেগুলো গরুর মাংসের সঙ্গে রাখা হয় না। সেগুলো আমরা ২০০-২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। যাতে করে সবাই কিনতে পারেন।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।