দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : দেশের উত্তরের জেলা নীলফামারীতে কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। হিমেল হাওয়ার পাশাপাশি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে এ জেলায়। কুয়াশার কারণে দিনের বেলাও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। ঘন কুয়াশায় সৈয়দপুর বিমানবন্দরে প্রায় দিনই সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ফ্লাইট চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কম থাকায় সৈয়দপুর বিমানবন্দরে কোনো ফ্লাইট অবতরণ ও উড্ডয়ন করতে পারেনি। বিমানবন্দরের স্টেশন ম্যানেজার সুপ্লব ঘোষ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আজ সকালে বিমানবন্দরে ফ্লাইট অবতরণের নির্ধারিত সময় ১১টা ২০ মিনিটে ছিল। ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কম থাকায় নির্ধারিত সময়ের থেকে বিমান অবতরণে এক থেকে আধা ঘণ্টা লেট হতে পারে। আমরা দৃষ্টি সীমানা পরিমাপ করছি। বর্তমানে দৃষ্টিসীমা ১ হাজারের বেশি আছে। শীতকালে বৈরী আবহাওয়ার কারণে প্রায়ই বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। এজন্য ফ্লাইট চলাচলের সিডিউল পরিবর্তন করা হয়েছে।
বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৯টায় বিমানবন্দর এলাকায় দৃষ্টিসীমা ছিল মাত্র ১০০ মিটার। সকাল ১০টায় ২০০ মিটার। যা দুপুর ১২টায় বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার মিটার। সাধারণত ২ হাজার মিটার দৃষ্টিসীমা থাকলে রানওয়েতে বিমান ওঠানামা করতে পারে। তাই কোনো ফ্লাইট অবতরণ করতে পারেনি। সৈয়দপুর বিমানবন্দরের পর্যবেক্ষক লোকমান হোসেন বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নীলফামারীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। সাধারণত ১০ ডিগ্রিতে আসলে শৈত্যপ্রবাহ কোটা ধরা হয়। এছাড়াও এদিকে ঠান্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের হার বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক মানুষেরা বেশি পরিমাণে আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর চাপ দ্বিগুণ বেড়েছে। কুয়াশার কারণে সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করছে। ফলে দূরপাল্লার নৈশকোচগুলো গন্তব্যে পৌঁছাতে দুই থেকে তিন ঘণ্টা দেরি হচ্ছে। কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে মহাসড়কে।
দেশকন্ঠ/অআ