দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : সাপ্তাহিক ছুটির দিনকে কেন্দ্র করে পুরোপুরি জমে উঠেছে ২৭তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। ছুটির দিন হওয়ায় আজ সকাল থেকেই মেলা প্রাঙ্গণে আসতে থাকেন দর্শনার্থীরা। মেলায় প্রবেশ করতে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট সংগ্রহ করছেন দর্শনার্থীরা। তবে সন্ধ্যা হলে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের পদচারণায় মেলা প্রাঙ্গণ আরও মুখরিত হয়ে উঠবে বলে প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের। এদিকে, জনসমাগম বাড়ায় খুশি ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টরা। শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) পূর্বাচলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় গিয়ে দেখা যায়, দেখেশুনে পছন্দের পণ্যটি কিনতে ব্যস্ত ক্রেতারা। মেলায় আসা ক্রেতা সামলাতে ব্যস্ত স্টল ও প্যাভিলিয়নের বিক্রেতারা। ছুটির দিনকে কেন্দ্র করে স্টলগুলোতে রয়েছে নানা ছাড়ের সমাহার। রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে স্ত্রীসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে মেলায় এসেছেন মো. মাসুদ রানা। অন্যান্য দিনে ব্যস্ততা থাকায় মেলায় আসার জন্য শুক্রবারকে বেছে নিয়েছেন তিনি। জানতে চাইলে মাসুদ রানা বলেন, অন্যান্য দিন অফিসের কাজ ও সাংসারিক ঝামেলা থাকে। তাই আজকে মেলায় এসেছি। এসে দেখি মেলায় পা ফেলার জায়গা নেই। এতো সংখ্যক মানুষ এসেছে, তবুও ভালোই লাগছে।
তিনি বলেন, মেলা ঢাকার কিছুটা বাইরে হওয়ায় খুবই ভালো হয়েছে। যাতায়াতের সুবিধাও আছে, আবার যানজটও নেই। খুব অল্প সময়েই মেলায় চলে এসেছি। টিকিট কিনতেও কোনো ঝামেলা পোহাতে হয়নি। মেলা ঘুরে দেখা গেছে, মেয়েদের প্রসাধনীর স্টলগুলো যেন লোকে লোকারণ্য। গোল্ডেন রোজ প্রসাধনী স্টলের বিক্রেতা শিল্পী আক্তার সাথী বলেন, সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় অন্যান্য দিনের তুলনায় ক্রেতা ও দর্শনার্থী বেশ ভালোই। তিনি বলেন, শুক্রবার ছুটির দিনে ক্রেতা বেশি আসবে মাথায় রেখে আমাদের স্টলে লোকবল বাড়ানো হয়েছে। যদিও আমাদের ধারণা ছিল শীতের মধ্যে লোকসমাগম বেশি হবে না। কিন্তু ধীরে ধীরে লোকসমাগম বাড়ছে, এটা আমাদের জন্য খুবই ভালো বিষয়।
প্রসঙ্গত, এবার ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ১০টি দেশের ১৭টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলছে। তবে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন রাত ১০টা পর্যন্ত মেলার স্টলগুলো খোলা থাকে। এবার মেলায় প্রবেশমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৪০ টাকা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ২০ টাকা। মেলার টিকিট অনলাইনে কিনলে ৫০ শতাংশ ছাড়ের সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও মেলায় প্রায় এক হাজার গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থাসহ বিদেশি প্রতিষ্ঠানের জন্য ১৭টি প্যাভিলিয়ন, মিনি প্যাভিলিয়ন ও স্টল রয়েছে। দেশি ও বিদেশি প্রতিষ্ঠানের জন্য দুটি হলের বাইরে মিলে মোট ৩৩১টি স্টল, প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন রয়েছে।
দেশকন্ঠ/অআ