• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ০৫:১৫    ঢাকা সময়: ১৫:১৫

ইংরেজিতে দক্ষতা বাড়াতে কী করবেন?

  • শিক্ষা       
  • ১১ জানুয়ারি, ২০২৩       
  • ৯২
  •       
  • ২১:৫৫:৪৩

দেশকন্ঠ প্রতিবেদক : বিশ্বায়নের এই যুগে দেশ-বিদেশের যেখানেই আপনি থাকুন না কেন, শিক্ষা ও পেশাগত অগ্রগতির জন্য আপনাকে ইংরেজিতে পারদর্শী হতে হবে। কেবল লেখা বা পড়া নয়, অন্য যে-কোনো ভাষার মতো ইংরেজিতেও আপনি পারদর্শী হবেন তখনই, যখন পড়া, লেখা, শোনা এবং বলা- এই চারটি অনুষঙ্গে আপনি দক্ষতা অর্জন করবেন। সহজ কিছু টিপস অনুসরণ করেই আপনি বাড়াতে পারেন ব্যবহারিক ইংরেজিতে আপনার দক্ষতা।

স্পোকেন ইংলিশ : প্রথমেই প্রয়োজন জড়তা দূর করা
ইংরেজিতে বলায় দক্ষতা বাড়ানোর পথে সবচেয়ে বড় অন্তরায় আমাদের জড়তা। বিশেষত, ভারতীয় উপমহাদেশের অধিবাসী হিসেবে আমরা বলার ক্ষেত্রে গ্রামার বা ব্যাকরণ প্রয়োগ ও উচ্চারণে একটু বেশিই সচেতন থাকি। ফলে জনসমক্ষে ইংরেজিতে কথা বলতে গেলে মনে আসে নানা টেনশন- সঠিক টেনস (tense) ব্যবহার করলাম তো! উচ্চারণ ঠিকঠাক হলো তো!

এরকম নানা দ্বিধা-সংকোচ-জড়তার দোলাচলে পড়ে আমরা ইংরেজিতে দুটো শব্দ উচ্চারণ করতেও কেমন যেন কুঁকড়ে যাই! প্রথমত মনে রাখতে হবে, ইংরেজি আমাদের মাতৃভাষা নয়। তাই ইংরেজিতে সবসময় যে আমরা শতভাগ সঠিক ব্যাকরণ ও উচ্চারণে কথা বলতে পারব- এমনটা আশা করাও ঠিক নয়।

গ্রামার বা ব্যাকরণই সব নয়!
গ্রামার বা ব্যাকরণের ভিত মজবুত হলেই যে আপনি ভাষায় দক্ষ হবেন, তা কিন্তু নয়! তা-ই যদি হতো তাহলে স্কুল-কলেজে ১২ বছর গ্রামার পড়ার পরও বেশিরভাগ শিক্ষার্থী ইংরেজি শুনে বোঝা ও বলার ক্ষেত্রে দুর্বল হতো না।

অন্যদিকে, প্রবাসীদের দেখুন- হয়তো স্কুলের গণ্ডিও পেরোয় নি কেউ কেউ, তবুও ইংরেজিতে কথা বলায় কতটা সাবলীল তারা!

আসলে ভাষার মূল উদ্দেশ্য সার্থকভাবে যোগাযোগ সম্পন্ন করা। তাই যথোপযুক্ত গ্রামার বা ব্যাকরণ অনুসরণ না করেও আপনি যে-কোনো ভাষায় দক্ষ হতেই পারেন। কাজেই ইংরেজিতে বলার ক্ষেত্রে স্বচ্ছন্দ হতে মনোযোগ দিন অনুশীলনে। ব্যাকরণে নয়, খুঁজে নিন আপনারই মতো কাউকে। কথোপকথন, আলাপ-আলোচনা, গল্প-স্বল্প সবই করুন ইংরেজিতে।

মুখে ফুটে ইংরেজি বেরুচ্ছে না? আপাতত কিছুদিন বন্ধুদের সামনে দাঁড়িয়ে ইংরেজি বই থেকে উচ্চস্বরে রিড-আউট (দেখে দেখে পড়া) প্র্যাকটিস করুন। এভাবে যত চর্চা করবেন ততোই বাড়বে আপনার স্পোকেন ইংলিশে দক্ষতা।

রিডিং ইংলিশ: জবরদস্তি নয়, ইংরেজি পড়ুন ভালোলাগা থেকেই
নিয়মিত পড়ার মাধ্যমেই সম্ভব পড়ে বোঝার ক্ষমতা বাড়ানো। তাই প্রতিদিনই ইংরেজিতে কিছু না কিছু পড়ুন।

পড়তে পারেন গল্পের বই, উপন্যাস, সায়েন্স ফিকশন, ম্যাগাজিন, সংবাদপত্র বা ই-বুক। তবে প্রথমটায় জটিল বা তাত্ত্বিক প্রবন্ধ পড়তে যাবেন না। কারণ কনটেন্ট ভালো না লাগলে কিছুদিনের মধ্যেই পঠন চর্চায় আগ্রহ হারাবেন আপনি।

আর ওয়ার্ড বাই ওয়ার্ড বুঝে বুঝে না পড়ে পড়ুন স্বাভাবিক গতিতে। নতুন শব্দের জন্যে প্রতিবার ডিকশনারির দ্বারস্থ না হয়ে শব্দার্থ অনুমান করে নিন। হয়তো একবারেই আপনার অনুমান সঠিক হবে না; কিন্তু একই শব্দ যখন কয়েক জায়গায় পাবেন তখন বাক্যের অর্থ বা আবহ থেকে ঠিকই বুঝে যাবেন এর অর্থ!

রাইটিং ইংলিশ: লিখতে লিখতেই বাড়বে লেখার গতি!
প্রতিদিন এক পাতা করে ইংরেজিতে লেখার অভ্যাস করুন। যে বিষয়ে লিখতে ইচ্ছা হবে সেটাই লিখুন।

গ্রামার ঠিক হলো কিনা, শুরুতেই সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করবেন না। লেখাটা কতটা নান্দনিক হলো, ভাবার দরকার নেই সেটাও। যে শব্দে লিখতে পারবেন সেটাই লিখুন, অযথা ডিকশনারি ঘাটবেন না। ইংরেজি জার্নাল বা পত্রিকা পড়তে গিয়ে নতুন যে শব্দগুলো শিখলেন চেষ্টা করুন লেখায় সেগুলো ব্যবহারের।

এভাবে অনুশীলনে কিছুদিনের মধ্যেই কেটে যাবে আপনার লেখার জড়তা। ফ্রি-হ্যান্ড রাইটিংয়ে দক্ষতা বাড়ার পর টিচার বা ইংরেজিতে দক্ষ অন্য কাউকে দিয়ে আপনার লেখাগুলো মূল্যায়ন করিয়ে নিন। দেখবেন, দিন দিন আপনার ভুল লেখার পরিমাণ কমে আসছে।

লিসেনিং ইংলিশ: শুনে বোঝার ক্ষমতা বাড়াতে করণীয়
নিয়মিত ইংরেজি শুনুন। তা হতে পারে সংবাদ, প্রতিবেদন, ডকুমেন্টারি বা ইংরেজি ভাষায় অন্য কিছু। তবে কোন অঞ্চলের ইংরেজি শুনবেন সেটা একটি বিবেচ্য বিষয়।

যেমন ধরুন, পাশ্চাত্যের ইংরেজি। ব্রিটিশরা এত দ্রুত কথা বলে যে, তাল সামলাতেই বেগ পেতে হয়। আর উচ্চারণ শুনলে মনে হয়, অর্ধেকটা বুঝি গলায় আটকে রেখে কথা বলছেন তারা!

অন্যদিকে প্রাচ্যের, বিশেষত ভারতীয় ইংরেজি শুনে বোঝাটা বেশ সহজ। তাই বিগিনার লেভেলে ভারতীয় ইংরেজি শুনতে পারেন। কিছুদিন পর দক্ষতা বাড়লে তখন ব্রিটিশ বা আমেরিকান ইংরেজি ধরুন।

প্রয়োগ করুন নতুন নতুন শব্দ
সাধারণত দেখা যায়, শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধ করার জন্যে অধিকাংশ ইংরেজি চর্চাকারীই ভোকাবুলারি বই বা ডিকশনারি থেকে শব্দার্থ মুখস্ত করে থাকেন। এভাবে প্রতিদিন ১০/২০টা করে শব্দ মুখস্ত করলেও লেখা বা বলার সময় মনে পড়ে না এর সিকিভাগও! ফলে নতুন নতুন শব্দ শেখার আগ্রহে কিছুদিনের মধ্যেই ভাটা পড়ে।শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধকরণে সবচেয়ে কার্যকর উপায় হচ্ছে- নতুন শব্দ শেখা মাত্রই তা প্রয়োগ করা।

ধরুন, আপনি প্রতিদিন একটি করে ইংরেজি শব্দ অর্থসহ মুখস্ত করলেন। দিনের মধ্যে একাধিকবার কথা বলার সময় শব্দটি ব্যবহার করুন। একই কাজ করুন লেখার ক্ষেত্রেও। নতুন শেখা শব্দগুলো সহজে মনে থাকবে, আপনি দক্ষ হবেন সেগুলোর প্রয়োগেও।এভাবেই কেবল লেখা বা পড়া নয়, অন্য যে-কোনো ভাষার মতো ইংরেজিতেও পারদর্শী হবেন আপনি।
দেশকন্ঠ/এআর

 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।