• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ১০:৫৭    ঢাকা সময়: ২০:৫৭

রাজশাহীতে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন

দেশকন্ঠ প্রতিবেদক : রাজশাহীতে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে ২০ বছর পর স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁর এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম করাদন্ড দেওয়া হয়েছে। ১১ জানুয়ারি বুধবার রাজশাহীর অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আব্দুস সালাম এ আদেশ দেন। দন্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম মো. এলাহী (৩৫)। তার বাড়ি রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বড় রাঙ্গামাটিয়া গ্রামে। তিনি পেশায় কৃষক। নিহত স্ত্রীর নাম সোনাভান (১৯)।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০২ সালের ২৮ আগস্ট পুঠিয়া থানার উপসহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মকবুল হোসেন সরকার বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পূর্বের রাগারাগির জের ধরে ঘটনার দিন রাতে স্ত্রী ভাত খেতে যাচ্ছিলেন না। তিন চারবার বলার পরেও স্ত্রী ভাত খেতে যায় না। তখন তার ওপর রাগ করে স্বামী মো. এলাহী স্ত্রীর ঘাড়ের ওপরে কাঠের লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। তারপর সোনাভান ঘুমিয়ে পড়ার মতো করে নিস্তেজ হয়ে যান। পরিবারের লোকজন এসে তার ঘাড়ে সরিষার তেল মালিশ করেন। কিন্তু সোনাভান আর সাড়া দেননি।

এই ঘটনাটি উজির আলী নামের এক ব্যক্তি পুঠিয়া থানার পুলিশকে জানান। তার মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। পরে এসআই মকবুল হোসেন সরকার বাদী হয়ে থানায় মামলাটি করেন। এ মামলায় আসামি গ্রেফতার হয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে ২০০২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শরৎচন্দ্র সরকার বলেন, জামিনে মুক্তি পেয়ে আসামি দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এরপর থেকে হাজতে ছিলেন। সেখান থেকে তাকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। রায় ঘোষণার পর তাকে আবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
দেশকন্ঠ/এআর

 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।