• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ২৩:৩৩    ঢাকা সময়: ০৯:৩৩

কারাগারে মারা গেছেন রুবিনাকে চাপা দেওয়া সাবেক সেই ঢাবি শিক্ষক

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : গত ২ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গাড়ির নিচে আটকে যাওয়া নারীকে টেনে নেওয়া গাড়িটি চালাচ্ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক যে শিক্ষক, কারাগারে তার মৃত্যু হয়েছে। সাবেক এই শিক্ষকের নাম মোহাম্মদ আজহার জাফর শাহ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক সহযোগী অধ্যাপক। আর ২ ডিসেম্বরের ওই ঘটনায় যে নারীর মৃত্যু হয় তার নাম  রুবিনা আক্তার। রুবিনার মৃত্যুর ঘটনায় জাফর শাহ গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন। শুক্রবার বিকাল পৌনে ৪টায় অসুস্থ অবস্থায় জাফর শাহকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  
 
জাফর শাহকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া কারারক্ষী রফিকুল বলেন, কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে জাফর শাহ নামে ওই  হাজতী অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জাফর শাহ নামে ওই হাজতিকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়েছিল। পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হবে।   
 
রুবিনাকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। গত ২ ডিসেম্বর মোটরসাইকেলে করে তেজগাঁওয়ের বাসা থেকে হাজারীবাগে বোনের বাসায় যাচ্ছিলেন রুবিনা আক্তার। পথে শাহবাগ জাদুঘরের সামনে পৌঁছালে পেছন থেকে জাফর শাহের প্রাইভেটকার মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দিলে রুবিনা পড়ে গাড়ির বাম্পারে আটকে যান। এরপর জাফর শাহ গাড়িটি না থামিয়ে চালিয়ে যেতে থাকেন। তাকে ধাওয়া করে নীলক্ষেত মোড়ের কাছে ধরে ফেলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, তাকে পেটানো হয় সেখানে। এ সময় রুবিনাকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
দেশকন্ঠ/অআ
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।