দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : গত ২ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গাড়ির নিচে আটকে যাওয়া নারীকে টেনে নেওয়া গাড়িটি চালাচ্ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক যে শিক্ষক, কারাগারে তার মৃত্যু হয়েছে। সাবেক এই শিক্ষকের নাম মোহাম্মদ আজহার জাফর শাহ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক সহযোগী অধ্যাপক। আর ২ ডিসেম্বরের ওই ঘটনায় যে নারীর মৃত্যু হয় তার নাম রুবিনা আক্তার। রুবিনার মৃত্যুর ঘটনায় জাফর শাহ গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন। শুক্রবার বিকাল পৌনে ৪টায় অসুস্থ অবস্থায় জাফর শাহকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জাফর শাহকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া কারারক্ষী রফিকুল বলেন, কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে জাফর শাহ নামে ওই হাজতী অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জাফর শাহ নামে ওই হাজতিকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়েছিল। পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হবে।
রুবিনাকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। গত ২ ডিসেম্বর মোটরসাইকেলে করে তেজগাঁওয়ের বাসা থেকে হাজারীবাগে বোনের বাসায় যাচ্ছিলেন রুবিনা আক্তার। পথে শাহবাগ জাদুঘরের সামনে পৌঁছালে পেছন থেকে জাফর শাহের প্রাইভেটকার মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দিলে রুবিনা পড়ে গাড়ির বাম্পারে আটকে যান। এরপর জাফর শাহ গাড়িটি না থামিয়ে চালিয়ে যেতে থাকেন। তাকে ধাওয়া করে নীলক্ষেত মোড়ের কাছে ধরে ফেলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, তাকে পেটানো হয় সেখানে। এ সময় রুবিনাকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
দেশকন্ঠ/অআ