দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : শুরুতে কিছুটা দর্শনার্থীদের খরা থাকলেও ধীরে ধীরে জমতে শুরু করেছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। বিশেষ করে আজকের ছুটির দিন (শুক্রবার) মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের বেশ ভিড় দেখা যাচ্ছে। অনেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে এসেছেন। যার ফলে, বিক্রেতাদের মুখেও হাসি ফিরতে শুরু করেছে। জানা গেছে, এবারের বাণিজ্য মেলায় দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মোট ৫৭টি বড় প্যাভিলিয়নসহ ৩৩১ স্টল রয়েছে। এর মধ্যে ১০টি দেশের ১৭টি বিদেশি স্টল রয়েছে। তার মধ্যে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ প্রতিষ্ঠান প্রথম সপ্তাহে আশানুরূপ বিক্রি করতে পারেনি। দ্বিতীয় সপ্তাহ শেষে সেসব প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা বলছেন, বিক্রি আগের চেয়ে কিছুটা হলেও বেড়েছে।
শুক্রবার মেলা ঘুরে দেখা গেছে, মেলার প্রবেশ গেটে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড়। আর স্টলগুলোর বিক্রয়কর্মীরা কম-বেশি ক্রেতা সামলাতে ব্যস্ত। আর দাম নিয়ে অভিযোগ থাকলেও পছন্দের জিনিস ক্রয় করতে পেরে খুশি ক্রেতারাও। আবার অনেক দর্শনার্থী মেলা ঘুরে দেখার পাশাপাশি সেলফিবন্দী করছে মেলার স্মৃতি। আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মেলায় গড়ে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৪৫ হাজার দর্শনার্থী ছিল। বৃহস্পতিবার মেলায় দর্শনার্থী ছিল ৩০ হাজারের মতো। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন সেটা ২ লাখের কাছাকাছি চলে যাবে। বাণিজ্য মেলার পরিচালক ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সচিব ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, মেলা আজ সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়েছে। মেলার আর্চওয়ের হিসেবে এমনিতে মেলায় প্রতিদিন ক্রেতা ও দর্শনার্থী সংখ্যা থাকে ৪০ থেকে ৫০ হাজার মতো। তবে, আজকে সব রেকর্ড পরিমাণ দর্শনার্থীরা এখন পর্যন্ত ( বিকেল ৪টা) ২ লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছে।
মেলা ঘুরে দেখা গেছে, দেশীয় পোশাক, হস্তশিল্পজাত পণ্য, সাজসজ্জার সামগ্রী, পাটজাত পণ্য, প্লাস্টিক, মেলামিন, আসবাব ও কার্পেটসহ গৃহসজ্জার বিভিন্ন সরঞ্জাম, ব্যাগ-জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ইলেকট্রনিক পণ্য, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ, তৈজস, হারবাল ও ইমিটেশন জুয়েলারি পণ্যের স্টলের সামনে ক্রেতাদের বেশি ভিড়। মিরপুর থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মেলায় এসেছেন আলী আহমদ। তিনি বলেন, একটু দূরে হওয়ায় আসতে-যেতে অসুবিধা হয়। তবে, মেলায় আসার পর পণ্য দেখে ও কম দামে কিনতে পেরে ভালো লাগছে। জানা গেছে, মেলায় চুরিসহ বেশ কিছু অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেছে। আজকের মেলার এখন পর্যন্ত ৩ জন চোর ধরা পড়েছে। আর একজন ইভটিজারকে ধরা হয়েছে। কয়েকটি মোবাইলও খোয়া যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ প্রসঙ্গে ইফতেখার আহমেদ বলেন, চুরি অভিযোগ খুব বেশি পাওয়া যায় না। তবে, আজকে দুইটি মোবাইল চুরির অভিযোগ এসেছে আমাদের কাছে। তিনি আরও বলেন, মেলার নিরাপত্তায় ৫টি শিফটে ৫ শতাধিক পুলিশ কাজ করছেন। মেলা আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে বলে জানান ইফতেখার আহমেদ ।
দেশকন্ঠ/অআ