দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : দলীয় কর্মীদের সঙ্গে একসঙ্গে খেতে বসেছিলেন। কিন্তু না খেয়ে ছবি তুলেই উঠে পড়েছেন তৃণমূলের সংসদ সদস্য (এমপি) শতাব্দী রায়। ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচির পর কর্মীদের সঙ্গে বসে মধ্যাহ্নভোজন করার কথা ছিল তার। কিন্তু খেতে বসে ছবি তুলেই উঠে পড়ে সমালোচনায় জড়ালেন শতাব্দী। শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) বীরভূমে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে যান শতাব্দী। দলীয় সূত্রে খবর, ওই কর্মসূচির পর বিষ্ণুপুর এলাকার তেঁতুলিয়া গ্রামে দলীয় এক কর্মীর বাড়ির উঠোনে মধ্যাহ্নভোজনের আয়োজন করা হয়েছিল। মেন্যুতে ছিল ভাত, ডাল, এঁচোড়ের তরকারি, খাসির মাংস, মাছ। সেখানে শতাব্দীও আমন্ত্রিত ছিলেন। কর্মসূচির পর সেখানেই যান তৃণমূল সাংসদ। প্রকাশ্যে আসা ভিডিওতে দেখা গেছে, দলীয় কর্মীদের অনুরোধে খেতে বসেছিলেন শতাব্দী। তাকেও শালপাতার থালায় সব পদই দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নিজের আসনে বসে দু-একটি ছবি তোলার পরই না-খেয়ে তিনি উঠে পড়েন।
এ ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। তৃণমূল সূত্রে খবর, দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে উঠোনে বসে না খেলেও ওই কর্মীর বাড়ির ভেতরে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করেছেন শতাব্দী। মধ্যাহ্নভোজনের সময় সেখানে উপস্থিত থাকা স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা বলেন, ‘অনেকেই ভেবেছিলেন, শতাব্দীদি হয়তো তাদের পাশে বসেই খাওয়া-দাওয়া করবেন। কিন্তু সারা দিন গ্রামেগঞ্জে ঘুরে সবাই ক্লান্ত ছিলেন। দিদিও তাই। হয়তো সেই কারণেই বাড়ির ভেতরে বসে খেয়েছেন উনি।’ ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন শতাব্দী। রামপুরহাটের একটি গ্রামে তাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। শতাব্দীও বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা করেন। পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘অনেকেরই অভিযোগ, তারা আবাস যোজনার বাড়ি, বার্ধক্যভাতা পাননি। দুয়ারে সরকারের সুবিধাও কেউ কেউ পাননি বলে জানালেন। তাদের কথা শুনেছি। সবার যেমন হয়েছে, ওদেরও হবে। সবাই সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।’ সেই ঘটনার পরই ভোজন-বিতর্কে জড়ালেন শতাব্দী।
দেশকন্ঠ/অআ