• বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ০৩:৩৯    ঢাকা সময়: ১৩:৩৯

ক্রিকেটে নতুন কোচ : ফিরছেন হাতুরুসিংহে

স্পোর্টস রিপোর্টার : জাতীয় দল এখন কোচশুন্য। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) নিয়েই সবাই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। কখনোই কোন জাতীয় দলকে কোচিং না করা স্টিভ রোডস, চন্দ্রিকা হাতুরাসিংহে বাংলাদেশে এসে সফলতা পেয়েছিলেন। এরপর রাসেল ডোমিঙ্গোও এসেছিলেন একই অভিজ্ঞতা নিয়ে। কিন্তু তার নিয়োগ নিয়ে শুরু থেকেই নানা কথা ছিল। যতদিন গেছে ততই স্পষ্ট হয়ে ওঠেছে এই দক্ষিণ আফ্রিকানকে না নেওয়ার নানান যুক্তি। নিয়মিত পারফরমারদের বাদ দিয়ে নিজের মতো করে দল গঠন এরপর সাফল্য পেলেও কাটেনি হতাশা। তারপর তো পরিস্থিতি বুঝে নিজে থেকেই পদত্যাগ করতে হয়েছে। এরপরই নতুন কোচ নিয়োগ নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। 
 
একটা সময় এসে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) থেকে পরিস্কার করা হয়েছে, তারা তিন ফরম্যাটের জন্য আলাদা কোচ নিয়োগ দেবেন না। এক কোচের অধীনেই পরিচালিত হবে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি। এখন বেশ কয়েকবছর পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে এক ‘প্রধান’ কোচ নীতিতে ফিরতে যাচ্ছে বিসিবি। ২০২৩ সালটা বেশ ব্যস্ততার মধ্যেই কাটবে বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের। সবচেয়ে বেশি সময় ব্যয় হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিয়ে। রঙ্গিন পোষাক-সাদা বলের বিশ্বকাপের বছরে হেড কোচ শূন্য এখন জাতীয় দল! 
 
প্রধান কোচের পদ থেকে সর্বশেষ ভারতের বিপক্ষে সিরিজেই পদত্যাগ করেছেন কোচ ডমিঙ্গো। এরপরই নতুন কোচের সন্ধান করা হচ্ছে। নতুন কোচ খুজতে গিয়ে জানা গেছে, তালিকায় বড় কিছু নামও আছে। আবার কোচিং নীতি নিয়েও চলছে নানা ধরনের কথা। সামনের সময়ে ব্যস্ত হওয়ার আভাষটা পাওয়া গেছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের এফটিপি প্রকাশের পরই। ২০২২ সালে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন অবশ্য বলেছিলেন, তারা ভিন্ন ফরম্যাটে আলাদা কোচ নিয়োগের কথা ভাবছেন। কারণ এতো বেশি খেলা যে, একজন হেড কোচের পক্ষে সব সিরিজে দলের সঙ্গে যুক্ত থাকা সম্ভব হবে না। এরপরই বিসিবি কোচিং প্যানেলে বিভক্তি চাইছেনা। এখন আর দলে একাধিক হেড কোচ নিয়োগ নীতি থেকেও সরে আসার প্রবল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বিসিবি সুত্রে জানা গেছে, একজন হেড কোচ নিয়োগ দিয়ে তার একজন ডেপুটি কোচ রাখা যেতে পারে। যিনি হেড কোচের ছুটিতে দল সামলানোর সময় দায়িত্ব পালন করবেন। 
 
নতুন করে করা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সিরিজের মাঝে যে কোন একটা ফরম্যাটে হেড কোচের ভূমিকা পালন করবেন সহকারীদের কেউ কেউ। বিসিবি থেকে জানা গেছে, সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীধরন শ্রীরাম হেড কোচের দায়িত্বে মুন্সিয়ানার পরিচয় দিলেও অতটা কার্যকর ছিল না। চলমান বিপিএলের পরেই বাংলাদেশের ইংল্যান্ড সিরিজ। ওই সিরিজের আগেই হেড কোচ ও কোচিং প্যানেল চূড়ান্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে বিসিবির। বিপিএল চলাকালীন সময়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দায়িত্ব পালন করা শ্রীরাম। অনেকে বলাবলি করছেন, কোচ হিসেবে নিজের মেয়াদ বাড়াতেই নাকি তার এ আগমন। এই ভারতীয়কে টি টোয়েন্টি দলের স্থায়ী হেড কোচ করা হবে বলে মনে করা হলের সহকারী কোচ করা সম্ভাবনাই এখন বেশি। বাংলাদেশ দলের পরবর্তী হেড কোচ হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন সাবেক কোচ শ্রীলঙ্কার চান্ডিকা হাথুরুসিংহে। এছাড়া মাইক হাসি, মোহাম্মদ কাইফ, রবিন সিং, ল্যান্স ক্লুজনাররা রয়েছেন আলোচনায়। এর বাইরে বিসিবি নতুন করে হেড অব প্রোগ্রাম (ডিরেক্টর অব কোচিং) পদ সৃষ্টির কথা ভাবছে। ওই তালিকায় অভিজ্ঞ টম মুডি এবং রিচার্ড পাইবাসের নাম আছে সংক্ষিপ্ত তালিকায়। সে হিসেবে বড় পরিকল্পনার পথেই হাটছে দেশের ক্রিকেট পরিচালনাকারী সংস্থাটি। 
 
টাইগারদের কোচ হওয়ার লড়াইয়ে এখন অনেকেই নিজেকে সামিল করেছেন। এদিকে কোচের হটসিটে এখন নাকি ত্রিমুখী লড়াই চলছে! হাথুরুসিংহে, শ্রীরাম ছাড়া নতুন করে আলোচনায় রয়েছে জুলিয়ান উড। জাতীয় দলের জন্য একজন পাওয়ার হিটিং কোচ হিসেবে ইংলিশ এই কোচের নাম শোনা যাচ্ছিল বেশ জোরেশোরে। যদিও শেষ পর্যন্ত ওই আলোচনা ফলপ্রসু হয়নি। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগেও নাকি উডের দিকে ঝুঁকতে চেয়েছিল বিসিবি, এমনটাই জানা গিয়েছিল। তবে তখন পাকিস্তানে দায়িত্ব পালন করায় সাড়া দিতে পারেননি উড। ইংলিশ কোচ জানালেন, এখন তিনি পুরোপুরি প্রস্তুত আছেন বাংলাদেশের কোচ হতে। এবারের নবম বিপিএলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন উড। পাওয়ার হিটিং বিশেষজ্ঞ কোচ হিসেবে ক্রিকেট দুনিয়ায় দারুণ জনপ্রিয়তা রয়েছে তার। আইপিএলে কাজ করার অভিজ্ঞতাও আছে ইংলিশ কোচের। উডের এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগেও তাকে নিয়ে ভাবছিল বিসিবি। পাওয়ার হিটিং স্পেশালাইজড বটে কিন্তু তিনি ব্যাটিং কোচও। উডকে নিয়োগ দিলে সহকারী কোচ করা হতে পারে। তবে শ্রীরাম থাকায় টি-টোয়েন্টির জন্য নিয়োগ পাওয়া নিয়ে দ্বিধাদ্বন্ধ কাজ করছে। তবে প্রধান কোচ হিসেবে হাথুরুসিংহে নাকি একরকম নিশ্চিত। তার নিয়োগের বিষয়টি নাকি ৯০ শতাংশ।
দেশকণ্ঠ/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।