• মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ১২:১৬    ঢাকা সময়: ২২:১৬
অনুর্ধ্ব-১৯ নারী বিশ্বকাপ ক্রিকেট

অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস

মোয়াজ্জেম হোসেন রাসেল : বিশ্বকাপে খেলতে যাবার আগে আকবর আলী নেতৃত্বে অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ের আত্ববিশ্বাসের কথা শুনিয়ে গিয়েছিল নারী ক্রিকেট দল। চমক দেখানোর কথা বলে নিজেরাই যেন চমকে গেছে। হারিয়ে দিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের পরাশক্তি অষ্ট্রেলিয়াকে। দক্ষিণ আফ্রিকায় শুরু হয়েছে নারীদের অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। গতকাল প্রথম ম্যাচেই বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটাররা মুখোমুখি হয় অস্ট্রেলিয়ার। শুভ সূচনাই করেছে বাংলাদেশের লাল সুবজ মেয়েরা। নিজেদের প্রথম ম্যাচেই অস্ট্রেলিয়ান নারী ক্রিকেটারদের তারা হারিয়ে দিয়েছে ৭ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে! ১২ বল হাতে রেখেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় দিশা বিশ্বাসের দল। অনেকটা নতুন দল নিয়ে এই আসরে খেলতে গেছে বাংলাদেশ দল। তা যেন মনেই হয়নি। বেনোনির উইলমোর পার্ক স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে অস্ট্রেলিয়ান মেয়েরা। 
 
নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩০ রান করে তারা। জবাব দিতে নেমে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে ১৮ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশের মেয়েরা। নারী ক্রিকেটে যে কোনো পর্যায়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এটাই বাংলাদেশের প্রথম জয়। তাইতো দারুণ খুশি মেয়েরা। এই জয়টা মেয়েদের ক্রিকেটের অগ্রযাত্রার পথেই কথা বলছে। আফিফার প্রত্যাশা, দিলারা আক্তার, স্বর্ণা আক্তার এবং সুমাইয়া আক্তারের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়েই অসাধারণ এই জয়ের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট দল। টস জিতে ব্যাট করতে নামার পর বল হাতে শুরুতেই অসিদের চেপে ধরেন বাংলাদেশের মেয়েরা। কেট পেলে এবং প্যারিস বোল্ডারকে শুরুতেই ফিরিয়ে দেন অধিনায়ক দিশা বিশ্বাস। কেট পেলে আউট হন ৫ রান করে এবং ৭ রান করেন প্যারিস বোল্ডার। 
 
যদিও এরপর ক্লেয়ার মুর এবং এলা হায়ওয়ার্ড মিলে দুর্দান্ত এক জুটি গড়ে তোলেন। এ দুজনের ব্যাটে গড়ে ওঠে ৭৬ রানের জুটি। এ সময় ক্লেয়ার মুর ৫১ বলে ৫২ রান করে আউট হন। এলা হায়ওয়ার্ড আউট হন ৩৯ বলে ৩৫ রান করার পর মারুফা আক্তারের বলে। এর মধ্যেই মারুফা আক্তার বোল্ড করে ফেরান লাকি হ্যামিল্টনকে। ৭ বলে ১৬ রান করে অপরাজিত থাকেন অ্যামি স্মিথ। রাইস ম্যাককেনা ৬ বলে ১২ রানে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশের হয়ে মারুফা আক্তার এবং দিশা বিশ্বাস নেন ২টি করে উইকেট। ১টি উইকেট নেন রাবেয়া খান। জবাব দিতে নেমে শুরুতেই মিস্টি সাহা প্রথম বলেই আউট হন। 
 
তাতে অবশ্য লক্ষ্যের পাণে ছুটতে কোন অসুবিধা হয়নি দলের। এরপর হাল ধরেন আফিয়া প্রত্যাশা এবং দিলারা খাতুন। ২২ বলে ২৪ রান করেন আফিয়া প্রত্যাশা। ৪২ বলে ৪০ রান করেন দিলারা আক্তার। স্বর্ণা ১৮ বলে ২৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। সুমাইয়া আক্তার ২৫ বলে ৩১ রান করে অপরাজিত থাকেন। অতিরিক্ত থেকে আসে ১৪ রান। ২ ওভার এবং ৭ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ দল। নারীদের ক্রিকেটে পরাশক্তি বলতে অস্ট্রেলিয়ার নাম থাকবে সবার আগে। সিনিয়র ক্রিকেটে যতোবার বাংলাদেশের নারীরা মুখোমুখি হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার, করুণভাবে হারতে হয়েছে লাল-সবুজ দলকে। সেই ইতিহাসই এবার বদলে দিলেন মেয়েরা। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে নতুন ইতিহাস লিখল বাংলাদেশের মেয়েরা। এ যেন নতুন এক ইতিহাস লেখা হয়ে গেছে।
 
ইতিহাস গড়া জয় দিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করায় আনন্দে আত্বহারা হয়ে আছে  বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। বাংলাদেশ দলের পরের দুই ম্যাচ ১৬ জানুয়ারি শ্রীলঙ্কা এবং ১৮ জানুয়ারি খেলবে যুক্তরাষ্ট্রের মেয়েদের বিপক্ষে। অস্ট্রেলিয়াকে পরাজিত করার পর লংকানরা খুব বেশি বড় প্রতিপক্ষ হতে পারবে বলে মনে হচ্ছেনা। কারণ আত্ববিশ্বাসের পারদটা এবার একটু বেশিই উচুঁতে রয়েছে তাদের। এরপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তো পাত্তাই পাবার কথা নয়। বলা যায় লক্ষ্যের পাণেই ছুটছে বাংলাদেশ দল।
দেশকণ্ঠ/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।