• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ১৩:৩২    ঢাকা সময়: ২৩:৩২

অতিথি পাখির আগমনে শোভা বেড়েছে বাফলা বিলের

দেশকন্ঠ প্রতিবেদক : ঝাঁকেঝাঁকে উড়ে বেড়াচ্ছে হাজার হাজার পরিযায়ী (অতিথি) পাখি। দেখে মনে হবে পাখিদের মেলা। খাবারের সন্ধানে হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে আসা এসব অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে বিলের চারপাশ। নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের বাফলা বিলে এ দৃশ্য এখন নিত্যদিনের। সবুজ শ্যামলে জীববৈচিত্রে ভরা বিশাল জলাধার বাফলার বিলে প্রতি বছরের মত এবারও শীতের আগমনে হাজার হাজার বালিহাঁস, পাতিসরালিসহ নানা জাতের পরিযায়ী জলচর পাখির মেলা বসেছে। দলবেঁধে আসা এসব পাখিডানার শব্দ আর কলতানে ভোরে ঘুমভাঙে স্থানীয়দের। স্থানীয়দের অতিথেয়তার ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি  মেলবন্ধন যেন এক অঘোষিত পাখির অভয়াশ্রম। নয়নাভিরাম এ জলাশয়ে হাজারও শাপলা ও সাদা পদ্ম ফুল ফুটে স্বর্গীয় রূপ ধারণ করে আছে।

স্থানীয়রা জানায়, পাখিগুলো শীত প্রধান দেশে টিকতে না পেরে প্রতি বছর শীতে অতিথি হিসেবে এখানে আশ্রয় নেয়। এরপর বসন্তে উত্তরে উড়াল দেয়। এমন নিরাপদ আবাসস্থলে পানকৌড়ি, চাপাখি, টুনটুনি, বেনেবউ, হাঁড়িচাচা, দোয়েল, শালিক, রাতচরা, কানাবক, সাদাবক, ধূসরবক, মাছরাঙ্গাসহ নাম না জানা অনেক পাখির আনা গোনা চলে নিত্যদিন। সরেজমিনে দেখা যায়, শতাধিক একরের সরকারি খাসভুক্ত জলায়তন বিলের একাংশ দখলমুক্ত ও খনন করে তোলা হয়েছে মৎস্য অভয়ারণ্য। তাছাড়া মৎস্যজীবীরা বিশাল এলাকাজুড়ে মাছ রক্ষায় এর চারপাশ বাঁশের বেড়া ও জাল দিয়ে নিরাপদ বেষ্টনি গড়ে তুলেছেন।এমন নিরাপদ বেষ্টুনির আবাসস্থলে বালিহাঁস, সরালির মত হাজার হাজার অতিথি পাখি জলকেলিতে মেতে উঠে। তাদের ছোটাছুটি আর লুটোপুটি চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। গোধুলির রঙ ডানায় মেখে পাখিগুলো যার যার মত আশ্রয় নেয় আশপাশের গাছগাছালি, বাঁশঝাড় ও কুচুরিপানায়।

বিল পাড়ের বাসিন্দা আব্দুল মালেক বলেন, এলাকার মানুষ পাখির প্রতি একদম সদয়। এখানে কাউকে পাখি শিকার করতে দেওয়া হয় না। তাই পাখি শিকার করতে এখানে আর কেউ আসে না। তবে পাখি নিরাপত্তায় জনসচেতনাতা সৃষ্টি করে, পাখি শিকার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ, পাখি শিকার করলে জেল-জরিমানা করা হবে প্রচারসহ বিল এলাকা সরকারিভাবে পাখির অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হলে শীত মৌসুমে পাখির ভিড় আরো বাড়বে বলে মনে করে তিনি। এছাড়া এলাকাটি একটি সুস্থ বিনোদনের কেন্দ্রস্থল হতে পারে বলে জানান তিনি।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন, একসঙ্গে এতো পাখির আনাগোনা দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। পাভিগুলো প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি স্থানীয়দের বিনোদনের খোরাক জোগানোর পাশাপাশি পুরো এলাকার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে। বিশেষ করে এ বিলে পাখিদের অন্যতম নিরাপদ আবাসস্থলে পরিণত হয়েছে। এছাড়া শিকারিদের হাত থেকে রক্ষায় জনসচেতনতাসহ নানা উদ্যোগও নেয়া হয়েছে।
দেশকন্ঠ/এআর


 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।