দেশকন্ঠ প্রতিবেদক : বিদেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের পাচার করা ৫০০ কোটি টাকার সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। তিনি বলেছেন, ওই টাকা যে ব্যাংকের ভল্টে আছে, সেটা তারেক রহমান এবং মামুনের আই কন্ট্যাক্ট ছাড়া বের করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে, টাকাটা এখনো ফেরত আনা যাচ্ছে না। ১৫ জানুয়ারি রোববার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে ওই আলোচনায় আরও অংশ নেন—মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা, সরকারি দলের সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী, উম্মে কুলসুম স্মৃতি ও ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত এবং বিরোধী দল জাতীয় পার্টির শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য স্বপন বলেন, খালেদা জিয়ার ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর পাচার করা ৪০ কোটি টাকা এফবিআইয়ের সহায়তায় বাংলাদেশ ফেরত এনেছে। তারেক এবং মামুনের আরও টাকার সন্ধান পাওয়া গেছে। বিদেশের একটি ব্যাংকে তারেক এবং মামুনের ৫০০ কোটি টাকার সন্ধান পাওয়া গেছে। কিন্তু, দুর্ভাগ্যের বিষয় হচ্ছে, ওই ব্যাংকের যে ভল্টে তারা টাকা রেখেছেন, সেই ভল্ট তারেক ও মামুনের আই কন্ট্যাক্ট ছাড়া খুলবে না। ফলে, টাকাটা এই মুহূর্তে ফেরত আনা যাচ্ছে না। তবে, তারেক-মামুনসহ বিএনপি নেতাদের বিদেশে পাচারকৃত টাকার হিসাব দ্রুতই প্রকাশ করা সম্ভব হবে।
হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, তারেক রহমান তার নিজের মামা এবং মামার বন্ধুদের প্যাদানি খেয়ে ২০০৭ সালে দেশ ছেড়ে পলায়ন করেছে। আর মামুন এখন দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগে কারাগারে। শুধু তারেক আর মামুন নয়, বিএনপির অনেক নেতার বিভিন্ন দেশে টাকার হদিস পাওয়া গেছে। তদন্ত চলছে। এই কারণে এই মুহূর্তে আমরা এটি সংসদে উপস্থাপন করতে পারছি না। তবে, অচিরেই তারেক ও মামুনসহ বিএনপির নেতাদের এই সমস্ত পাচারকৃত টাকার তথ্য জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে এবং টাকাগুলো ফিরিয়ে এনে জাতীয় অর্থনীতিতে যোগ করা হবে।
বিদ্যুৎ উৎপাদনে আওয়ামী লীগ সরকারের সফলতা তুলে ধরে আবু সাঈদ আল মাহমুদ বলেন, বিএনপির আমলে খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান এবং তার বন্ধু মামুনের লুটপাটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন ৪ হাজার ৩০০ থেকে ৩ হাজার ২০০ মেগাওয়াটে নেমে এসেছিল। আজকে বাংলাদেশ ২৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে।ওই আলোচনায় অংশ নিয়ে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা বলেন, জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশে নারী উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন, নারীর সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বাল্যবিবাহ এবং নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা রোথে সরকার বদ্ধপরিকর। নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। কোনো মেয়ে যেন বাল্যবিয়ের শিকার না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
দেশকন্ঠ/এআর
আমাদের কথা
ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।