দেশকন্ঠ প্রতিবেদক : ৪৪ বছরে এবারই প্রথম ঘটলো এমন ঘটনা। খুব একটা তফাৎ নেই দিন ও রাতের তাপমাত্রায়। এর অন্যতম কারণ জলবায়ু পরিবর্তন, বলছে আবহাওয়া অধিদফতর। নতুন করে শৈত্যপ্রবাহ শুরুর খবরও দিলেন দফতর কর্তারা। চলতি শীত মৌসুমে এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে সর্বনিম্ম তাপমাত্রার এ রেকর্ড গত কয়েক বছরের তুলনায় এখনও কম। ২০১৮ সালে তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তারপরও এ বছর শীতের তীব্রতা বেশি থাকার জন্য জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণকেই দায়ী করছেন গবেষকরা। তারা বলছেন, বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় এবার মধ্যরাত থেকে পরের দিন দুপুর কিংবা কখনো কখনো দিনভর কুয়াশাচ্ছন্ন ছিল প্রকৃতি। ফলে সূর্যের আলো ভূ-পৃষ্ঠকে উত্তপ্ত করতে পারেনি।৭ জানুয়ারি ঢাকায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৫. ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রাতের তাপমাত্রা ছিল ১১.৫ ডিগ্রি। একইভাবে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রার ব্যবধান কমে যাওয়া এবং দিনের তাপমাত্রা সর্বনিম্ন তাপমাত্রার কাছাকাছি থাকায় শীত অনুভূতি বেশি হচ্ছে বলে জানান আবহাওয়াবিদরা।
আবহাওয়াবিদ ডা. মো. আবুল কালাম মল্লিক বলেন, “দুই তাপমাত্রার পার্থক্য বহুলাংশে কম থাকার কারণে গত ৪৪ বছরের মধ্যে দিনের তাপমাত্রার এই রকম অবনমন ঘটেনি। এই বার ত্রিমনসুন এবং মনসুন পিরিয়ডে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম থাকার কারণে এই সয়েল ময়েশ্চারের যোগান মাটিতে কম ছিল। ফলে দিনের সর্বোচ্চ যে তাপমাত্রা তা অনেকটা নীচে নেমে আসে, প্রায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রার কাছাকাছি এসেছিল। এর ফলে আমরা শীতের তীব্রতা দেখলাম।”
কিশোরগঞ্জ, নীলফামারি, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, রাজশাহী, দিনাজপুর, শ্রীমঙ্গলসহ আশাপাশের বিভিন্ন জেলায় আগামী তিন থেকে সাত দিন পর্যন্ত আবারও শৈত্যপ্রবাহের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। ডা. মো. আবুল কালাম মল্লিক বলেন, “যেখানে তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস আছে সেগুলোর কিছুটা অবনমন হতে পারে এবং এসব জেলার পার্শ্ববর্তী জেলায় মৃদু তাপমাত্রা বিস্তার লাভ করতে পারে।” তবে মৃদু এই শৈত্যপ্রবাহ কখনো কখনো ২১ থেকে ২৩ দিন পর্যন্তও স্থায়ী হতে পারে বলে জানান আবহাওয়াবিদরা।
দেশকন্ঠ/এআর
আমাদের কথা
ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।