• সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ০১:৫৮    ঢাকা সময়: ১১:৫৮

বোতলে চিঠি ভরে ভাসিয়েছিলেন আটলান্টিকে ৩৭ বছর পর ফিরে পেলেন

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : কথায় বলে, সমুদ্র কিছুই নেয় না, সবই ফিরিয়ে দেয়। কিন্তু আদৌও কি তা সত্যি? তারই প্রমাণ পেতে ঠান্ডা পানীয়ের খালি বোতলে কাগজে লেখা চিরকুট ভরে আটলান্টিক মহাসাগরে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন মাউন্ট ওয়াশিংটনের বাসিন্দা ট্রয় হেলার। ৩৭ বছর আগের কথা। তখন তার বয়স মাত্র ১০ বছর। বাড়ির বড়দের সঙ্গে সমুদ্রে বেড়াতে গিয়ে খেলাচ্ছলেই ফ্লোরিডার ভেরো সৈকতে ওই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন তিনি। বোতলে ভরা চিরকুটে লিখে দিয়েছিলেন নিজের নাম, ঠিকানা ও ফোন নম্বর। সবশেষে লিখেছিলেন, কেউ যদি কোনোদিন ওই বোতলটি ফিরে পান, তাহলে যেন তাকে জানান। এরপর কেটে গেছে প্রায় চার দশক। ছোটবেলায় সমুদ্রে সেই চিরকুট লিখে বোতল ভাসানোর কথাও ভুলে গিয়েছেন তিনি। এমন সময় আচমকা সেই বোতলে ভরা চিরকুট ফিরে পেলেন ট্রয়। স্বভাবতই এই ঘটনায় রীতিমতো অবাক তিনি।
 
ফ্লোরিডার এক শিক্ষক দম্পতি বোতলটি পান। ট্রয় যেখানে সমুদ্রে বোতলটি ভাসিয়েছিলেন, তার থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে সেটির হদিশ মেলে। বোতলের ভেতরে একটি কাগজ দেখে ওই দম্পতির কৌতূহল জাগে। এরপর বাড়িতে নিয়ে এসে বোতলটির মুখ ভেঙে ভিতরে থাকা জীর্ণ কাগজটি বের করেন তারা। ট্রয় জানিয়েছেন, একদিন তিনি বাড়িতে খাচ্ছিলেন। ওই সময় ফ্লোরিডার একটি নম্বর থেকে ফোন আসে। তিনি রিসিভ করতে পারেননি। এরপরই তিনি ওই নম্বর থেকে একটি মেসেজ পান। তাতে লেখা, সমুদ্রে একটি বোতল খুঁজে পেয়েছি। সেই বোতলের ভেতরে থাকা চিরকুটে তার নাম ও ঠিকানা লেখা। এটাও লেখা আছে, যদি কেউ ওই বোতলটি পান, তিনি যেন তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এই মেসেজ পাওয়ার পরই উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন ট্রয়। তার কথায়, ছোটবেলায় সমুদ্রে ঘুরতে গিয়ে মজা করে বোতলটি ভাসিয়েছিলাম আটলান্টিক মহাসাগরে। দেখতে চেয়েছিলাম, সেটি কোথায় যায়। কিন্তু এত বছর পর সেটি যে, আবার আমার কাছেই ফিরে আসবে, তা ভাবতে পারিনি। আজ বিশ্বাস হলো, সমুদ্র কিছুই নেয় না, সবই সময়মতো ফিরিয়ে দেয়। চিরকুট ফিরে পেয়ে উচ্ছ্বসিত ট্রয়। 
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।