দেশকন্ঠ প্রতিবেদক : শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, এ বছর শিক্ষার্থীদের কাছে যে বইগুলো গেছে, সেগুলো পরীক্ষামূলক সংস্করণ। সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের একটা অধ্যায়ে যে সমস্যা হয়েছে, আমরা সেটার সংশোধন আনছি। এই পরীক্ষামূলক বইয়ে কোনো ভুল বা কিছু নিয়ে আপত্তি থাকলে তা ঠিক করা হবে। গত মঙ্গলবার রাতে চাঁদপুর প্রেসক্লাবের কার্যকরী কমিটির অভিষেক ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।তিনি আরও বলেন, শিক্ষাব্যবস্থায় শুধু পরিবর্তন নয়, একেবারে রূপান্তর যদি ঘটানো না যায়, তাহলে একুশ শতকের যত চ্যালেঞ্জ আছে, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যত চ্যালেঞ্জ আছে, সেগুলো মোকাবিলা করা যাবে না। এটি শুধু বাংলাদেশের নয়, সারা বিশ্বের মত। বাংলাদেশের শিক্ষাবিদেরা বহু আগে মতটি দিয়েছিলেন। তার ভিত্তিতে সরকার কাজটি করেছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা অনেক বেশি পরীক্ষানির্ভর ছিল। সনদ পাওয়াটাই ছিল মূল উদ্দেশ্য। এ জন্য শেখার পদ্ধতিতে একটা পরিবর্তন আনা দরকার ছিল। এখন আমরা সেই জায়গা থেকে বের করে এনেছি। আগে আমাদের শিক্ষকেরা পড়াতেন, আমরা তা মুখস্ত করতাম। কিন্তু কী শিখছি, তা কাজে লাগাতে পারিনি। এখন মূলত শিখনপদ্ধতির পরিবর্তন করা হচ্ছে। কাজেই আগের বিষয়গুলো ঠিক থাকবে, শুধু নতুন কিছু প্রযুক্তি আসবে, নতুন কিছু বিষয় আসবে, সেগুলো এখন পড়ে পড়ে শিখবে। প্রতিটি শিক্ষার্থী যাতে এখন বই পড়ে পড়ে শিখতে পারে। আমরা শুধু প্রাথমিক নয়, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক, কারিগরি, মাদরাসা ও উচ্চশিক্ষায় ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে আসছি। সব কিছু মিলে আমাদের আনন্দময় শিক্ষাব্যবস্থা করা হচ্ছে।
চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি এ এইচ এম আহসান উল্লাহ সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আল ইমরান।বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ, চাঁদপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ওচমান গণি পাটওয়ারী, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কাজী শাহাদাতসহ অনেকে। সংবর্ধিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত প্রমুখ।
দেশকন্ঠ/এআর
আমাদের কথা
ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।