• বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ০৪:১২    ঢাকা সময়: ১৪:১২

ক্লাসে মহানবীর ‘বিকৃত ছবি’ প্রদর্শন মামলা করলেন অভিযুক্ত অধ্যাপক

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : যুক্তরাষ্ট্রের মিনোসোটার হ্যামলিন বিশ্ববিদ্যালয়ে এরিকা লোপেজ নামের এক অধ্যাপক ক্লাসে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর একটি বিকৃত ছবি প্রদর্শন করেন। ২০২২ সালের অক্টোবরে এমন হীন কাজ করেন তিনি। এ ঘটনার পর শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এরিকার সঙ্গে নতুন করে আর চুক্তি না করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এখন আদালতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন এরিকা লোপেজ প্রাটার। এরিকা লোপেজ মূলত একজন চারু ও কারুকলার অধ্যাপক। তিনি বৈশ্বিক শিল্পকর্ম ও সংস্কৃতির ওপর ক্লাস নেন। ইসলামি শিল্পকর্মের ওপর ক্লাস নেয়ার সময় তিনি মহানবীর হাতে আঁকা বিকৃত ছবি প্রদর্শন করেন। মহানবীর ছবি আঁকা এবং সেগুলোর বর্ণনা দেওয়া ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। মুসলিমদের জন্য বিষয়টি বেশ স্পর্শকাতর। এ ধরনের ঘটনায় মুসলিমরা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান। তবে লোপেজের আইনজীবি দাবি করেছেন, তিনি ক্লাসে এ ছবি প্রদর্শনের আগে শিক্ষার্থীদের অনুমতি নিয়েছিলেন। অক্টোবরে লোপেজ এমন হীন কাণ্ড ঘটানোর পর তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় বিশ্ববিদ্যালয়টি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে যেসব বিবৃতিতে দেওয়া হয়েছে সেগুলো থেকে ধারণা করা হচ্ছে, তারা তাদের অবস্থান পরিবর্তন করছে।
 
মার্কিন গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইম জানিয়েছে, ২০২২ সালের অক্টোবরে এ ঘটনা ঘটার পর নভেম্বরে সব কর্মকর্তাদের কাছে একটি ইমেইল পাঠিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট। সেখানে তিনি বলেছিলেন, এরিকা লোপেজের এমন কাজ অনস্বীকার্যভাবে অবিবেচক, অসম্মানজনক এবং ইসলামবিদ্বেষী। এখন বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে। অনেকে ধর্ম এবং একাডেমিক স্বাধীনতার মধ্যে ভারসাম্যর বিষয়টি সামনে আনছেন। হ্যামলিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ফাইনিস মিলার এবং তার বোর্ড অব ট্রাস্টি চেয়ারম্যান এলেন ওয়াটার্স বর্তমানে সতর্কতামূলক অবস্থান নিয়েছেন। তারা বলেছেন, সবকিছু বিবেচনা করে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এরিকা লোপেজের সঙ্গে চুক্তি না বাড়ানোর সিদ্ধান্তের বিষয়টি পুনঃপরীক্ষা ও পুনঃমূল্যায়ন করবেন। অধ্যাপক এরিকা লোপেজের বিরুদ্ধে অভিযোগটি করেছিলেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম অ্যাসোসিয়েশনের ২৩ বছর বয়সী শিক্ষার্থী আরাম ওয়েদেতাল্লা। তিনি বলেছেন, অধ্যাপকের এ কাজটি ইসলাম বিদ্বেষী এবং এটি অনেকের মনে আঘাত করেছে।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।