• সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ০৬:২৮    ঢাকা সময়: ১৬:২৮

ভালো কাজে আল্লাহর রহমত বর্ষিত হয়েছে

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : ‘মাত্র এক ঘণ্টায় মোহাম্মদপুর থেকে আব্দুল্লাহপুর চলে এসেছি। ভালো কাজে এসেছি আল্লাহর রহমত বর্ষিত হয়েছে। এখন মাঠে গিয়ে বয়ান শুনবো তারপরে আখেরি মোনাজাতে অংশগ্রহণ করবো।’ কথাগুলো বলছিলেন ইজতেমা ময়দানের উদ্দেশে আসা মুসল্লি এনায়েত হোসেন শাওন। রোববার (২২জানুয়ারি) সকালে টঙ্গি ইজতেমা মাঠের উদ্দেশে এসে আব্দুল্লাহপুর নামেন এ মুসল্লি। যানজট ছাড়াই মোহাম্মদপুর থেকে পরিবার নিয়ে আসেন এ ব্যক্তি। ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাত আজ হলেও সকাল থেকে বিমানবন্দর সড়কে নেই যানজট। ফলে কষ্ট ও ভোগান্তি ছাড়াই বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের বয়ান ও মোনাজাতে অংশ নিতে দল বেধে টঙ্গী ইজতেমা মাঠে যাচ্ছেন মুসল্লিরা। সাত বন্ধু মিলে ইজতেমায় যাচ্ছি। রামপুরা থেকে মাত্র আধা ঘণ্টায় আব্দুল্লাহপুর এসেছি। আমার কাছে অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে। রোববার (২২জানুয়ারি) সকাল ৭ টা থেকে ৯টা পর্যন্ত খিলক্ষেত, বিমানবন্দর, উত্তরা ও আব্দুল্লাহপুর সড়কে এই দৃশ্য দেখা গেছে। মুসল্লিদের কারো হাতে জায়নামাজ, কারো হাতে তসবি, কেউ আসছেন বন্ধু-বান্ধব কিংবা আত্মীয়-স্বজনের সাথে কিংবা এলাকার লোকজনের সঙ্গে ইজতেমায় অংশ নিচ্ছেন। বেশিরভাগ মুসল্লি পায়জামা এবং পাঞ্জাবি পরিধান করে ইজতেমা ময়দানে আসছেন। রাজধানী রামপুরা থেকে ভিক্টর পরিবহনের মাধ্যমে আব্দুল্লাহপুর এসে নামা যাত্রী আশিকুর রহমান নাম বলেন, আমরা সাত বন্ধু মিলে ইজতেমায় যাচ্ছি। রামপুরা থেকে মাত্র আধা ঘণ্টায় আব্দুল্লাহপুর এসেছি। আমার কাছে অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে।
 
তিনি বলেন, মনে করেছিলাম এয়ারপোর্ট থেকে হেঁটে আসতে হবে, আল্লাহর রহমতে কোন যানজট ছাড়াই আব্দুল্লাহপুর চলে এসেছি। এখন এটুকু হেঁটে চলে যাব। আখেরি মোনাজাত ও হেদায়েতি বয়ান করবেন ইজতেমায় আদি তাবলিগের শীর্ষ মুরব্বি দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ কান্ধলভী। জানা গেছে, গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ পারে চলছে মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। রোববার (২২জানুয়ারি) বাদ ফজর ভারতের দিল্লির মোরসালিন নিজামুদ্দিনের বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার তৃতীয় দিন শুরু হয়েছে। এদিন সকাল ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। তাৎক্ষণিকভাবে বয়ান বাংলায় তরজমা করছেন বাংলাদেশের মাওলানা আশরাফুল। বয়ানের পর নাস্তার বিরতি দিয়ে ৯টা থেকে মাওলানা মোশাররফ তালিম করবেন। সাড়ে ৯টা থেকে শুরু হবে হেদায়েতের কথা। আখেরি মোনাজাত ও হেদায়েতি বয়ান করবেন ইজতেমায় আদি তাবলিগের শীর্ষ মুরব্বি দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ কান্ধলভী। ৬২ দেশের প্রায় ৮ হাজার ও দেশের লাখ লাখ মুসল্লির আগমনে মুখর ইজতেমার মাঠ টঙ্গীর আশপাশ। রোববারের আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসল্লিরা শনিবার রাত থেকে ইজতেমা ময়দানে আসা শুরু করেছেন। শীত উপেক্ষা করে লাখো মুসল্লি বিশ্ব ইজতেমার ময়দানে এক ছাতার নীচে জড়ো হয়েছেন। বিপুল এই মুসল্লির মাঝে রয়েছে বহু কিশোর ও মাদরাসা শিক্ষার্থী।
 
মোনাজাত বিষয়ে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের মিডিয়া সমন্বয়কারী মো. সায়েম বলেন, বেলা ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে সুবিধাজনক সময়ে আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। আখেরি মোনাজাত ও হেদায়েতি বয়ান করবেন ইজতেমায় আদি তাবলীগের শীর্ষ মুরব্বি দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ কান্ধলভী। গত ১৫ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয় প্রথম পক্ষের (মাওলানা যোবাইর অনুসারী) আয়োজনে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। এরপর চার দিন বিরতি দিয়ে ২০ জানুয়ারি শুরু হয়েছে দ্বিতীয় পক্ষের (স্বাদ অনুসারী) বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন। তা আজ আখেরি মোনাজাতে মধ্য দিয়ে শেষ হবে।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।