• বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ০৩:৪২    ঢাকা সময়: ১৩:৪২

জঙ্গলে মিলল বিশালাকার ব্যাঙ

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : উত্তর অস্ট্রেলিয়ার একটি জঙ্গলে বিশালাকার কেন টোড ব্যাঙের সন্ধান পাওয়া গেছে। ওয়াইল্ডলাইফ বিশেষজ্ঞদের দাবি, এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় ব্যাঙ। এটি আকারে এতটাই বড় যে ওই জঙ্গলের ওয়াইল্ডলাইফ অফিসাররা এটিকে খেলনা ভেবে ভুল করেছিলেন। সাধারণত ‘কেন ব্যাঙের’ যা আকার হয়, তারচেয়ে এই কেন ব্যাঙটি আকারে ছয় গুণ বড় বলে জানা গেছে। বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, আকারে-আয়তনে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ব্যাঙের রেকর্ড ভেঙে দিতে পারে এই কেন টোড। পার্ক রেঞ্জার কাইলি গ্রে এই ব্যাঙটি উদ্ধার করেছিলেন। তিনি জানান, ন্যাশনাল পার্টে ট্র্যাকের কাজ করার সময় প্রথমে একটি সাপ দেখতে পান। তারপরই তার নজরে এসেছিল ব্যাঙটি, প্রাথমিকভাবে যাকে দেখে তিনি একটি প্রপ ভেবেছিলেন।
 
কিছুটা কাছে যেতেই দেখেন, যাকে প্রপ ভেবে ভুল করছিলেন সেটাই তারপর নড়াচড়া করছে। তার কথায়, ‘কাছে গিয়ে আমি এই ব্যাঙটাকে ধরলাম। চোখের সামনে দেখেও বিশ্বাস করতে পারছিলাম না যে এত বড় একটা ব্যাঙও থাকতে পারে এবং তা এত শক্তও হতে পারে। আমরা এর নাম দিয়েছি টোডজিলা। তারপর প্রাণীটিকে একটি কন্টেইনারে রেখে দেই, যাতে ঠিকভাবে ওর রক্ষণাবেক্ষণ করা যায়।’ এরপরই ‘টোডজিলা’-র ওজন মাপতে যান কাইলি ও তার দলের সদস্যরা। ওজন মেপে যখন দেখেন ২.৭ কেজি, তখনই তাদের মাথায় ঘোরাফেরা করে রেকর্ডের প্রসঙ্গ। তারা স্পষ্টতই বুঝতে পারেন, এই ব্যাঙের মধ্যে নতুন রেকর্ড করার যাবতীয় সম্ভাবনা রয়েছে। বিবিসির এক রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৯৯১ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ব্যাঙ হিসেবে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডটি রয়েছে সুইডেনের ‘প্রিনসেন’ নামের একটি পোষ্য ব্যাঙের।
 
কাইলি বিশ্বাস করেন, এই টোডজিলা নিজের ওজন বাড়িয়েছে প্রচুর পরিমাণে কীটপতঙ্গ, সরীসৃপ এবং ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণী খেয়ে। তার কথায়, ‘এদের মুখে ঢুকতে পারে, এমন যা-খুশি খেতে পারে এরা।’ প্রসঙ্গত, এক সময় আখ থেকে কীটপতঙ্গ বের করতে এই ব্যাঙগুলোকে ব্যবহার করা হতো। সেই থেকেই এদের নাম কেন টোড। তবে একটা কেন টোড আকারে-আয়তনে কতটা বড়, সেই অনুযায়ী তাদের নামও ভিন্ন। কেন টোডকে কখনও জায়ান্ট টোড, কখনও আবার মেরিন টোডও বলা হয়— কখন কী বলা হবে, তা একান্তই নির্ভর করে তাদের সাইজের ওপর। সাধারণত একটি কেন টোডের উচ্চতা ৫.৯ ইঞ্চি পর্যন্ত হতে পারে। এরা অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম আক্রমণাত্মক প্রজাতি এবং স্থানীয় বন্যপ্রাণীদের জন্য এরা যথেষ্ট ভয়ঙ্কর হতে পারে, তা যদি ওদের মুখে ঢোকার মতো সাপ হয়, তাহলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।