• বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ১৩:৫২    ঢাকা সময়: ২৩:৫২

যে হোটেলে ঘুমালে এক দেশে থাকবে পা আর অন্য দেশে মাথা

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : হোটেল আরবেজ ফ্রাঙ্কো-সুইচ। ফ্রান্স ও সুইজারল্যান্ডের আন্তর্জাতিক সীমান্তের ঠিক ওপরে তৈরি হোটেলটির অর্ধেক অংশ ফ্রান্সে এবং বাকি অর্ধেক সুইজারল্যান্ডে। ইউরোপের এ ছোট একটা হোটেল আলোড়ন সৃষ্টি করেছে সারা বিশ্বে। এখানে একই সময় ভিন্ন দুটি দেশে রাত কাটানোর অভিজ্ঞতা দেবে। বিশ্বে এমন অনেক সীমান্ত এলাকা রয়েছে, যেখানে দুই দেশের মানুষ মিলেমিশে থাকেন। অনেক জায়গা রয়েছে, যেখানে মানুষ এক দেশে কাজে যান এবং অন্য দেশে ঘুমাতে। এমনও রয়েছে যেখানে রান্নাঘর এক দেশে এবং শোয়ার ঘর অন্য দেশে। কিন্তু একসঙ্গে দু’দেশে থাকার অভিজ্ঞতা দেবে বিশ্বে হোটেল আরবেজ ছাড়া দ্বিতীয়টি আছে বলে কারও জানা নেই।
 
একটি ছোট্ট পরিবার এই হোটেলটির পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে। তবে, এই হোটেলের পেছনে ১৮৬২ সালের ইতিহাস রয়েছে। ড্যাপেসের চুক্তির কারণে এই হোটেল তৈরি করা হয়। ওই চুক্তি অনুসারে, নিকটবর্তী রাস্তায় ফরাসি নিয়ন্ত্রণের জন্য একটা ছোট অঞ্চল অদলবদল করতে সম্মত হয়েছিল ফ্রান্স এবং সুইজারল্যান্ড। চুক্তি অনুসারে, ফ্রান্স-সুইজারল্যান্ড সীমান্তে যেকোনো ইমারতকে অক্ষত রাখার জন্য নিয়মও বলবৎ করা হয়েছিল। কিন্তু এই হোটেল আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্যের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছিল। ফ্রান্স ও সুইজারল্যান্ড সীমান্তে অবস্থিত লা কিওর নামের একটি ছোট গ্রামে অবস্থিত এই হোটেল আরবেজ। ১৯২১ সালে খোলা হয় এটি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ও এই হোটেলটি বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিল। জার্মানদের ফ্রান্স দখলের সময় হোটেলের সুইজারল্যান্ডের অংশে আশ্রয় নিয়েছিল ফরাসিরা। হোটেলের ডান দিক হলো সুইজারল্যান্ড এবং বাঁ দিকে ফ্রান্স। ফ্রান্স ও সুইজারল্যান্ড সীমান্ত হোটেলের একটি ঘরের বিছানা এবং বাথরুমের মধ্য দিয়ে চলে গিয়েছে। ওই নির্দিষ্ট ঘরে যদি কোনো ব্যক্তি ঘুমাতে যান, তাহলে তার সুইজারল্যান্ডে মাথা এবং ফ্রান্সে পা থাকবে।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।