• বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ০৪:২৬    ঢাকা সময়: ১৪:২৬

যুক্তরাজ্যে বিদেশি শিক্ষার্থীদের সুবিধা কমানোর পরিকল্পনা

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : যুক্তরাজ্যে যেসব বিদেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করতে যান তারা পড়াশোনা শেষে দেশটিতে চাকরি খোঁজার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় পান। তাদের দেওয়া হয় নতুন ভিসা। এ ভিসার মাধ্যমে ব্যাচেলর এবং মাস্টার্স শিক্ষার্থীদের ২ বছর এবং পিএইচডি করতে আসা শিক্ষার্থীদের ৩ বছরের সময় দেওয়া হয়। তবে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রাভারম্যান এই সময়টি কমিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। আর এ নিয়ে এখন দেশটির শিক্ষা বিভাগের সঙ্গে সুয়েলার কিছুটা দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস বুধবার (২৫ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
 
দ্য টাইমস জানিয়েছে, ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ মন্ত্রী সুয়েলা ব্রাভারম্যান প্রস্তাব দিয়েছেন, পড়াশোনা শেষে যারা যুক্তরাজ্যে থাকতে চান তাদের দক্ষতাসম্পন্ন চাকরি খুঁজে নিতে হবে। আর নয় ছয় মাস পর নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে। সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, মূলত অখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ে শর্ট কোর্স করতে আসা শিক্ষার্থীরা এ ভিসা সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করছেন। এ কারণে এখন নিজেদের নীতি পরিবর্তন করার পরিকল্পনা করছে সরকার। এছাড়া এটি অভিবাসনে ‘পেছনের পথ’ হিসেবে অনেকে ব্যবহার করছেন বলেও জানিয়েছেন এক সরকারি কর্মকর্তা।
 
তবে যুক্তরাজ্যের শিক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, পড়াশোনা শেষে কাজ পাওয়ার জন্য যে দুই বছরের ভিসা দেওয়া হয় সেটি ব্রিটেনের অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বি দেশেও রয়েছে। তাদের দাবি, সরকার যদি এমন সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে বিদেশি শিক্ষার্থীরা যুক্তরাজ্যে আসার আগ্রহ হারাবেন। যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল পরিসংখ্যান অফিসের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতীয় শিক্ষার্থীরা এ ভিসার সুবিধা সবচেয়ে বেশি গ্রহণ করেন। এখন পর্যন্ত যত জনকে এ ভিসা দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে ৪১ শতাংশই ভারতীয়। এদিকে প্রায় এক মাস আগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক  দেশটির শিক্ষা বিভাগকে নির্দেশনা দেন, তারা যেন যুক্তরাজ্যে বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কমানোর ব্যবস্থা করেন।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।