দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী ও বিশ্ব ব্যাংকের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকে আন্তর্জাতিক সাফল্যের গল্প হিসেবে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বিশ্ব ব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইসারের প্রতি এ আহ্বান জানান তিনি। বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিশ্ব ব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইসার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে এলে তিনি এ আহ্বান জানান। টেকসই উন্নয়নে বাংলাদেশের অর্জনের প্রশংসা করেন রাইসার। বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় পরবর্তী উত্তরণে সহায়তায় বিশ্ব ব্যাংকের প্রস্তুতির বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। জলবায়ু অবকাঠামো, বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চলে বাঁধ প্রশস্ত ও উচ্চতর করার জন্য বিশ্ব ব্যাংককে আরও বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি উপকূলীয় বনায়ন এবং এই ধরনের বাঁধের ওপর ভিত্তি করে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদন সম্পর্কে তার ধারণাগুলো রাইসাসের কাছে তুলে ধরেন।
ঢাকায় গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশন (জিসিএ)-এর আঞ্চলিক অফিসের তত্ত্বাবধানে চালু হওয়া গ্লোবাল হাব ফর লোকাল-লেড অ্যাডাপ্টেশনের সঙ্গে সম্ভাব্য অংশীদারিত্ব অন্বেষণ করার জন্য রাইসারকে পরামর্শ দেন মন্ত্রী। মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের উদারতার কথা স্বীকার করেন রাইসার। তিনি মিয়ানমারে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন না হওয়া পর্যন্ত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উন্নত জীবনযাত্রা এবং শিক্ষায় সহায়তায় ব্যাংকের আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশের প্রচেষ্টার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য বিশ্ব ব্যাংকের প্রতি আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি মানবসম্পদ উন্নয়নে বিশ্ব ব্যাংককে আরও কাজ বাড়ানোর অনুরোধ করেন। বাংলাদেশের এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনকে মসৃণ ও টেকসই করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন ড. মোমেন।
দেশকন্ঠ/অআ