• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ১১:২৪    ঢাকা সময়: ২১:২৪

ফ্রি কলসেন্টার থেকে আইনি পরামর্শ পেয়েছেন ১৪৯৮১৮ জন

দেশকন্ঠ প্রতিবেদক : সরকারি আইনি সহায়তা জাতীয় হেল্পলাইন কলসেন্টার (টোল ফ্রি-১৬৪৩০) থেকে ১ লাখ ৪৯ হাজার ৮১৮ জন আইনি পরামর্শ সেবা পেয়েছেন। জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার (লিগ্যাল এইড) মাধ্যমে এ সেবা দেয়া হয়েছে। সেবাটি ২০১৬ সালের ২৮ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেছিলেন। সে থেকে ২০২২ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত আইনি সেবার তথ্য জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, কলসেন্টার স্থাপনের পূর্বে হটলাইনের মাধ্যমে সেবা দেয়া হয় ১৭ হাজার ৩২৮ জনকে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি তথা এর জন্য উদ্যোগ গ্রহণ ৭৪ হাজার ১০৫টি মামলায় এবং এতে উপকারভোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৩৫ হাজার ৪৫৯ জন।  ২০১২ সাল হতে ২০২২ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত ১ লাখ ২ হাজার ৪৫ জন কারাবন্দীকে ৬৪ জেলা কমিটির মাধ্যমে আইনি সহায়তা দেয়া হয়। সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগ, দেশের সব নিম্ন আদালত, শ্রম আাদালতে সরকারি খরচায় অসচ্ছ্বল জনগোষ্ঠীকে লিগ্যাল এইড দেয়া হয়। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বা ক্ষুদ্র জাতি সত্তা সম্প্রদায়ের দেশের সর্বোচ্চ আদালতে আইনি সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে আইনগত সহায়তা প্রদান নীতিমালায় ইতোমধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল, অসমর্থ বিচারপ্রার্থী জনগণকে সরকারি খরচে আইনি সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন-২০০০’ প্রণয়ন করে। তারপরের সরকারগুলো আইনটি কার্যকরে উল্লেখযোগ্য কোন পদক্ষেপ নেয়নি। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠনের পর আওয়ামী লীগ দরিদ্র ও অসচ্ছল জনগণের বিচারপ্রাপ্তি নিশ্চিতে আইনটি কার্যকরে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং তা অব্যাহত রয়েছে।২০০০ সালে প্রণীত এই আইন অনুযায়ি ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা’ গঠন করা হয়। এর ব্যাপ্তি সুপ্রিমকোর্ট, দেশের সকল জেলা, অধঃন্তন আদালত, শ্রম আদালত, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত এখন প্রতিষ্ঠিত। জেলা কমিটি গঠন, প্রতিটি জেলা জজ আদালতে এর কার্যালয় রয়েছে।নানা প্রচার, প্রচরণা, সেমিনার-কর্মশালা ও প্রকল্পের মধ্য দিয়ে এ সেবা এখন মানুষের দোড়গোড়ায়। তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে এখন এ সেবাকে আরও সহজ করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার নিজস্ব ওয়েবসাইট রয়েছে।
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।