• সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ০৯:৫২    ঢাকা সময়: ১৯:৫২
রাজশাহী জনসমুদ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

আওয়ামী লীগ কখনো পালায় না

দেশকণ্ঠ প্রতিবেদন : প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর দল কখনো পলায়ন করে না বরং জনগণের সাথে থেকে তাদের উন্নতির জন্য কাজ করে যায়। তিনি ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ এবং ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়তে দেশবাসীকে আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করারও আহ্বান জানান। বাসস। তিনি বলেন, ‘যারা (বিএনপি নেতারা) বলছে আওয়ামী লীগ পালানোর সুযোগ পাবে না, আমি তাদের একটা কথা পরিষ্কার করতে চাই যে, আওয়ামী লীগ কখনো পালায় না, কিন্তু তাদের নেতারাই পালিয়ে যায়।’
 
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ২৯ জানুয়ারি বিকেলে নগরীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ ও জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে লাখো মানুষের অংশগ্রহণে জনসমুদ্রে পরিণত হওয়া মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন। সমাবেশ স্থল থেকে প্রধানমন্ত্রী রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (আরসিসি) সাতটিসহ  মোট ২৬টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ছয়টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজকে বিরোধী দল অনেক কথাই বলে, তারা নোটিশ দেয় আবার বলে আমরা নাকি পালাবার পথ পাব না। তিনি বিএনপি-জামাতকে প্রশ্ন করেন পালায়  কে? কারণ আওয়ামী লীগ কখনও পালায় না, পিছু হটে না। 
 
’৭৫ এ জাতির পিতাকে হত্যার পর সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের বাধা সত্ত্বেও ’৮১ সালে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হবার পর একরকম জোর করেই দেশে ফিরে আসার উল্লেখ করে তিনি বলেন, আবার ২০০৭ সালে ছেলের বউ অসুস্থ থাকায় তাঁকে বিদেশ যেতে হয়েছিল কিন্তু তাঁর ফেরায় আবারও বাধার সৃষ্টি করা হয়, মামলা হুমকি ধমকি উপেক্ষা করেও সে সময় বাংলার মানুষের কথা চিন্তা করে জোর করে তিনি দেশে ফিরে এসেছিলেন। ‘আজকে যারা বলে আওয়ামী লীগ পালানোর সুযোগ পাবে না, তাদের আমি স্পষ্ট বলতে চাই আওয়ামী লীগ পালায় না, পালায় আপনাদের নেতারাই,’ বলেন তিনি।
 
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি নেতারা নাকি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করবে তাদের দুর্নীতিতে সাজাপ্রাপ্ত বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে। যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় স্ট্যাম্পে মুচলেকা দিয়ে দেশ থেকে পালিয়ে গিয়েছিল আর রাজনীতি করবে না বলে। সেই কথা কি বিএনপি নেতাদের মনে নাই। দুর্নীতিতে সাজাপ্রাপ্ত খালেদা ও তারেক। এমনকি খালেদা জিয়া তারেক কোকোর মাধ্যমে যে টাকা পাচার করেছিল তার ৪০ কোটি টাকা আমরা বিদেশ থেকে ফেরত আনতে সক্ষম হয়েছি।  তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো পালায়না বরং জনগণকে নিয়েই কাজ করে। কেননা এই সংগঠন জাতির পিতা শেখ মুজিবের হাতে গড়া সংগঠন। এই সংগঠন যখন ক্ষমতায় থাকে বাংলাদেশের মানুষের তখনই ভাগ্যের পরিবর্তন হয়। 
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমরা দারিদ্রের হার ৪০ ভাগ থেকে ২০ ভাগে নামিয়েছি। সামাজিক নিরাপত্তাবলয়ের কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন ভাতা ও সুবিধা প্রদানের পাশাপাশি তিনি ভূমিহীন-গৃহহীনদের জন্য তাঁর সরকারের বিনা মূল্যে ২ কাঠ জমিসহ ঘর নির্মাণ করে দেয়ার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের এই বাংলায় একটি মানুষও যাতে গৃহহীন না থাকে, কেউ যেন খাদ্যের জন্য কষ্ট না পায় সেজন্য তাঁর সরকারের পদক্ষেপের উল্লেখ করেন তিনি। গত নির্বাচনে (জাতীয় নির্বাচন) এবং মেয়র নির্বাচনে ভোট দেয়ার জন্য তিনি রাজশাহীর জনগনণকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনেও নৌকায় ভোট প্রত্যাশা করেন। তিনি বলেন, ‘আগামীতে নির্বাচন আসবে, এই বছরের শেষে বা আগামী বছরের শুরুতে সেখানে আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন কি না ওয়াদা চাই।’
 
সমবেত জনতা এই সময় দুই হাত তুলে সমস্বরে চিৎকার করে ওয়াদা করলে তিনি সকলকে ধন্যবাদ জানান এবং বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ যেন গড়তে পারি  সেজন্যই আপনারা সকলে নৌকায় ভোট দেবেন। সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। লাখো জনতা সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আলী কামাল এবং সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার সমাবেশ সঞ্চালনা করেন।
দেশকণ্ঠ/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।