দেশকন্ঠ প্রতিবেদক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ের ধারাবাহিকতার লক্ষ্যে উন্নয়নের বার্তা নিয়ে আজ রবিবার রাজশাহী যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বছরও রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দিয়েছিলেন তিনি। এবারও দীর্ঘ পাঁচ বছর পর পদ্মা নদীর কোলঘেঁষা রাজশাহী মহানগরীতে উন্নয়নের বার্তা নিয়ে ভোট প্রার্থনায় যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। আজ ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে ৫ থেকে ৭ লাখ মানুষের সমাগম ঘটিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনি জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত করার টার্গেট নেওয়া হয়েছে। রাজশাহী জেলা ও মহানগরে প্রধানমন্ত্রী আজ ২৫টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ছয়টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের পর নতুন বছরে প্রথম কোনো জনসভায় যোগ দিচ্ছেন আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা। এর আগে ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি রাজশাহীর এই ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানেই জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা উপস্থিত জনতার কাছে নৌকার বিজয়ে ভোট প্রার্থনা করেছিলেন। এছাড়া ২০১৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর রাজশাহীর বাগমারায় ও ২০১৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি চারঘাটে আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগ দেন তিনি। ২০১৭ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর রাজশাহীর পবার হরিয়ানের বিশাল জনসভায় হাজির হয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। গত ২৬ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী গণভবনে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সভায় রাজশাহীতে জনসভা করার সিদ্ধান্ত হয়। জনসভার আগের দিন গতকাল শনিবার রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন সাংবাদিকদের বলেন, ‘জনসভার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। পাঁচ বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজশাহীতে আসছেন। এই পাঁচ বছরে রাজশাহী মহানগরী, জেলা ও আশপাশের জেলায় যে উন্নয়ন হয়েছে সে জন্য জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রীকে আমরা ধন্যবাদ জানাতে চাই, কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবে। আশা করছি, প্রধানমন্ত্রীর রাজশাহীর জনসভায় ৫ থেকে ৭ লাখ মানুষের জনসমাগম হবে।’
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার আগমনকে ঘিরে বর্ণিল সাজে সেজেছে পদ্মাপাড়ের শহরটি। রাজশাহীতে জনসভায় যোগ দেওয়ার আগে সকালে সারদা পুলিশ একাডেমি পরিদর্শন ও পুলিশ প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন শেষে বিকালে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে জনসভায় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে বিভাগ জুড়ে বিরাজ করছে উৎসব আমেজ।
প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করার লক্ষ্যে জেলা ও মহানগরে ১০টি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে। এসব উপ-কমিটির সমন্বয়ে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজশাহী মহানগর ছাড়াও জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে গত ১৫ দিন আগে থেকেই শুরু হয়েছে প্রচার-প্রচারণা। রাজশাহী মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠনসহ ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের উদ্যোগে প্রচার মিছিল, গণসংযোগ, হ্যান্ডবিল বিলি, প্রস্তুতিসভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। রাজশাহী জেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টসহ গোটা শহর জুড়ে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন চিত্রের ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণে সজ্জিত করা হচ্ছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে হয়তো আওয়ামী লীগ সভাপতির অংশগ্রহণে রাজশাহীর মাটিতে এটিই হবে শেষ জনসভা।
প্রধানমন্ত্রী আজ রাজশাহীতে যেসব প্রকল্প উদ্বোধন করবেন সেগুলো হলো, ১. জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল, ২. শেখ রাসেল শিশু পার্ক, ৩. মোহনপুর রেলক্রসিংয়ে ফ্লাইওভার, ৪. ভদ্রা মোড় রেলক্রসিং-নওদাপাড়া বাস টার্মিনাল পর্যন্ত চার লেন সড়ক ও রোড ডিভাইডার, ৫. বন্ধগেট থেকে সিটি হাট পর্যন্ত চার লেন সড়ক ও রোড ডিভাইডার, ৬. রেন্টুর খড়ির আড়ৎ হতে হাইটেক পার্ক হয়ে ঢালুর মোড় পর্যন্ত কারপেটিং রাস্তা, ড্রেন ও ফুটপাত এবং কোর্ট হতে পশ্চিম শহরতলী ক্লাব পর্যন্ত কারপেটিং রাস্তা, ৭. আলুপট্টি থেকে তালাইমারী মোড় পর্যন্ত চার লেন সড়ক, ৮. পুঠিয়া-বাগমারা মহাসড়ক, ৯. রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের ৬ষ্ঠ তলা হতে ১০ম তলা পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ কাজ, ১০. রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের হেডকোয়ার্টার্সসহ সর্বমোট ২৫টি প্রকল্প।
দেশকন্ঠ /এআর
আমাদের কথা
ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।