দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে সামরিক সহায়তা হিসেবে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বেশ কয়েকটি অত্যাধুনিক লিওপার্ড ২ এবং এম ১ আব্রাম ট্যাংক পাচ্ছে ইউক্রেন। এদিকে রাশিয়ার একটি কোম্পানি ইতোমধ্যে ইতোমধ্যে এসব ট্যাংক ধ্বংস বা কব্জার বিনিময়ে পুরস্কার ঘোষণা করেছে রুশ সৈন্যদের জন্য। রাশিয়ার উরাল অঞ্চলভিত্তিক বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী কোম্পানি ফোরেস রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, রুশ সৈন্যদল যদি লিওপার্ড ২ বা এম ১ আব্রাম ট্যাংক দখল কিংবা ধ্বংস করতে পারে, সেক্ষেত্রে ট্যাংকপ্রতি নগদ ৫০ লাখ রুবল (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭৬ লাখ ৩৭ হাজার টাকা) পুরস্কার দেওয়া হবে।
২০১৫ সালে ক্রিমিয়া যুদ্ধের পর স্বাক্ষরিত মিনস্ক চুক্তির শর্ত উপেক্ষা করে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য তৎপরতার অভিযোগে ২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। সেই অভিযান শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ইউক্রেনকে শত শত কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ। সেসব সহায়তায় সর্বশেষ সংযোজন এই লিওপার্ড ২ ও এম ১ আব্রাম নামের দুই অত্যাধুনিক শক্তিশালী ট্যাংক। মূলত ইউরোপীয় প্রযুক্তিতে তৈরি লিওপার্ড ২ ট্যাংক ব্যবহার করে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো। অন্যদিকে এম ১ আব্রাম ট্যাংক তৈরি হয়েছে মার্কিন প্রযুক্তিতে।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ১৪ টি করে মোট ২৮টি লিওপার্ড ২ ট্যাংক পাঠাতে সম্মত হয়েছে জার্মানি ও পোল্যান্ড; আর একই সময়সীমার মধ্যে দেশটিকে ৩০ থেকে ৫০টি এম ১ আব্রাম ট্যাংক পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা ইউক্রেনে ট্যাংক পাঠানোর ঘোষণা দেওয়ার পরেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছিলেন, এই ট্যাংক সহায়তা যুদ্ধের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেবে এবং শিগগিরই রুশ সেনারা সেসব ট্যাংক সম্পূর্ণ ধ্বংস করে ফেলতে সক্ষম হবে। পেসকভের সেই ঘোষণারই যেন প্রতিধ্বনি পাওয়া গেল ফোরেস কোম্পানির বিজ্ঞপ্তিতে। সেখানে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে যুদ্ধের মাত্রা বাড়াতে ‘সীমাহীন’ অস্ত্র সরবরাহ করার পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে ন্যাটো। গত এক বছরে অবশ্য পশ্চিমা দেশগুলো থেকে সহায়তা হিসেবে আসা শত শত অস্ত্রের ডিপো ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে রুশ বাহিনী।
দেশকন্ঠ/অআ