• সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ১৪:৫৫    ঢাকা সময়: ০০:৫৫

ধারাবাহিক গণতন্ত্র না থাকলে দেশে এত উন্নয়ন হতো না : প্রধানমন্ত্রী

দেশকন্ঠ প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গণতান্ত্রিক ধারা ও জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার আছে বলেই দেশে উন্নয়ন হচ্ছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের মেয়াদে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি প্রাকৃতিক পরিবেশেরও উন্নতি হয়েছে। ৩০ জানুয়ারি সোমবার সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন গণপূর্ত অধিদপ্তর, রাজউক ও গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের বাস্তবায়িত ১১টি প্রকল্প উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশকে নিয়ে, শোষিত-বঞ্চিত মানুষ যারা একবেলা ক্ষুধার অন্ন জোগাড় করতে পারত না। এই বঞ্চনার হাত থেকে মানুষকে মুক্তি দেয়া, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়া এবং বাংলাদেশের মানুষকে উন্নত-সমৃদ্ধ করে বিশ্বের দরবারে মর্যাদা দেয়াই ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একমাত্র লক্ষ্য।

তিনি বলেন, পঁচাত্তরের পর এ দেশে ক্ষমতা বদল হয়েছে বন্দুকের নল দিয়ে। অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে, হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে। বাংলাদেশের দীর্ঘ সংগ্রামের পথ বেয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের যে গণতান্ত্রিক ধারা যে অব্যাহত হয়েছিল সেটা ব্যাহত হয়ে যায়। সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল এবং মার্শাল ল’ জারি করা হয়, এটা সম্পূর্ণ সংবিধান বিরোধী। আর সেই ধারায় ২১ বছর সরকার পরিচালিত হয়েছে। যার ফলে মানুষের যে উন্নয়ন এবং উন্নয়নের গতি ব্যাহত হয়েছিল।

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, একদিকে যেমন তিনি (বঙ্গবন্ধু) ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে সীমিত সম্পদ নিয়ে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে প্রতিটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। অপরদিকে সাধারণ মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য কাজ করে গেছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রবৃদ্ধি প্রথম ৯ ভাগের ওপর অর্জিত হয়েছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আমলে ১৯৭৫ সালে। কিন্তু পঁচাত্তরের পরে সেই অগ্রগতি সম্পূর্ণ থেমে যায়।প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারণ অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী; জাতির পিতার হত্যার পর যিনি সেনাপ্রধান হলেন, তিনিই একদিন নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দিলেন। ঘোষিত রাষ্ট্রপতি, অনির্বাচিত লোক দিয়ে কখনো দেশের উন্নতি হয় না, এটা প্রমাণিত সত্য। তাই ২১ বছরে উন্নয়নটা হতে পারেনি। ’৯৬ সালে সরকারে আসার পর জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করেছি। জনগণের উন্নয়ন অন্তত আমরা করতে পেরেছিলাম। বিদ্যুৎ উৎপাদন, স্বাক্ষরতার হার, খাদ্য উৎপাদন বাড়িয়েছিলাম।
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।