দেশকন্ঠ প্রতিবেদক : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যারা দলের নাম ভাঙিয়ে নানা ধরনের চাঁদাবাজি করে, মানুষকে হয়রানি করে, তাদের ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, 'মাদক বিক্রি থেকে শুরু করে বিশেষ করে মানুষের জায়গা দখল, মানুষকে চোখ রাঙানো, ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা তোলাসহ এ ধরণের অপকর্ম যারা করবে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠিন ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো। শরীরের কোন অংশ পঁচে গেলে যেমন কেটে ফেলে দিতে হয়, আমরাও সেভাবে ব্যবস্থা নেবো।' আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় ঐতিহ্যবাহী রাজানগর আরএবিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে স্কুল মাঠে আয়োজিত মিলনমেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এলাকার মানুষের কিছু অভিযোগের প্রেক্ষিতে মন্ত্রী এ সতর্ক বাণী উচ্চারণ করেন।ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সব স্কুলেরই অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রয়োজন। কিন্তু শুধু সুন্দর অবকাঠামো স্কুলের মান প্রতীয়মান হয়না।স্কুলের মান নির্ণয়ের ক্ষেত্রে স্কুলে কতটুকু নৈতিকতা, দেশাত্মবোধ, মানুষের প্রতি মমত্ববোধ, সহমর্মিতা, গুরুজনদের প্রতি কর্তব্যবোধ শিক্ষা দেওয়া হয় এবং মেধা, মূল্যবোধ এবং দেশাত্মবোধের সাথে শিক্ষার্থীদের সমন্বয় কার্যক্রম আছে কিনা সেটিও বিবেচনায় নিতে হবে।
রাঙ্গুনিয়া থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'আমি ঠিক করেছি আমি চিঠি দিয়ে শিক্ষা বোর্ডগুলোতে এটি জানাবো যে, শুধুমাত্র ভাল রেজাল্ট ভাল মানুষ তৈরি করে না। এমন একটি স্কুল কিংবা বিদ্যানিকেতন চাই, যেখানে ঠিক মানুষ তৈরি করে, যার আত্মকেন্দ্রিকতা, স্বার্থপরতা থাকবে না। মেধা, মূল্যবোধ, মমত্ববোধ, দেশাত্মবোধের সমন্বয়ে ভাল মানুষ তৈরি করবে, এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আমরা চাই৷'বিদ্যালয়ের বর্ষপূর্তি উদযাপন কমিটির আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতাউল গনি ওসমানী, রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মেয়র মো. শাহজাহান সিকদার প্রমুখ।৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সকাল থেকেই বিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা র্যালি, স্মৃতিচারণ, সম্মাননা প্রদান, ম্যাগাজিন প্রকাশনা, র্যাফেল ড্র, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে।
দেশকন্ঠ /এআর
আমাদের কথা
ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।