দেশকন্ঠ প্রতিবেদক : দেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় আরেকটি মাইলফলক স্থাপিত হলো। ২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে রূপগঞ্জের পূর্বাচল সেক্টর ৪-এ নির্মাণকাজের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন শেষে সুধীসমাবেশে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় আরেকটি মাইলফলক স্থাপিত হলো। এর আগে মেট্রোরেল উপহার দিয়েছি। সেটি ওপর দিয়ে যাবে। এবার মাটির নিচ দিয়ে যাবে পাতাল রেল। বাংলাদেশে এ ধরনের আয়োজন প্রথম। যারা এসেছেন সবাইকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।’প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আমূল বদলে দিয়েছে৷ নিজেদের কাজের মাধ্যমে জনগণের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করে মন জয় করে নিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার৷ গণতন্ত্রের ধারাটা বজায় রয়েছে বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; এতসব উন্নয়ন-অর্জন সম্ভব হচ্ছে৷ দেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা আর কেউ থামাতে পারবে না৷
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক, স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি। আমাদের স্বাধীন রাষ্ট্র দিয়েছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা সময় পেয়েছিলেন মাত্র সাড়ে তিন বছর। একটা জাতির জন্য এই সময় কিছুই না। তিনি উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন। সাড়ে তিন বছরে আর কতটুকু করা যায়।’তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানিরা ২৭৮টি রেল ব্রিজ ধ্বংস করেছিল, ২৭০টি সড়ক ব্রিজ ধ্বংস করে। এক কোটি শরণার্থী, তিন কোটি গৃহহারা, একটা টাকা রিজার্ভ নেই। সেই ধ্বংসস্তুপের ওপর দাঁড়িয়ে যাত্রা শুরু করে জাতির পিতা বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশে উন্নীত করেন। বাংলাদেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে তিনি ব্যাপক কর্মসূচি নেন।’বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য, ৭৫ এর ১৫ আগস্ট নেমে আসে ঘোর অন্ধকার। জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো। আমার মা, ছোট তিন ভাইকে হত্যা করা হলো। আমার চাচাকে হত্যা করা হলো। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি আর আমার ছোট বোন বিদেশে ছিলাম। ছয় বছর রিফিউজি হিসেবে বিদেশে থাকতে হয়েছে। আমি বাংলাদেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আওয়ামী লীগের প্রতি কৃতজ্ঞাতা জানাই আমার অবর্তমানে আমাকে সভাপতি করায়। অনেক বাধা ছিল। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী জিয়া-মোশতাক। জিয়া নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে। কিছুতেই আমাতে দেশে আসতে দিতে চায়নি। শুধু জনগণের ওপর ভরসা করে আমি বাংলাদেশে ফিরে এসেছিলাম। শুধু বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য দেশে ফিরে এসেছিলাম।’তিনি বলেন, গত ১৪ বছরে এই বাংলাদেশের আমূল পরিবর্তন হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছি। এবার বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ করা হবে। মেট্রোরেলের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গত ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেল উদ্বোধন করেছি। এই কাজ যখন শুরু করতে যাই তখন জঙ্গির উত্থান হলো। হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় বিদেশি নাগরিকদের হত্যা করা হয়। ৭ জন জাপানি নাগরিককে হত্যা করা হয়। যারা মেট্রোরেলের কাজে যুক্ত ছিলেন। আমি তাদের স্মরণ করি। এই ঘটনার পরও জাপান সরকার তাদের সহযোগিতার হাত গুটিয়ে নেননি। তাদেরকে আমি ধন্যবাদ জানাই।’
দেশকন্ঠ/এআর
আমাদের কথা
ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।