দেশকন্ঠ প্রতিবেদক : শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘নিরাপদ সড়ক ব্যবহার ও ট্রাফিক সচেতনতা’ শীর্ষক কর্মশালার আয়োজন করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। আজ ৬ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় নগরীর নাসিরাবাদস্থ চট্টগ্রাম সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজ অডিটরিয়ামে ট্রাফিক-উত্তর বিভাগের আয়োজনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক-উত্তর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) জয়নুল আবেদীন বলেছেন, নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করা আমাদের সকলের কাম্য। কিন্তু সড়কের অব্যবস্থাপনা, ট্রাফিক নিয়মকানুন সম্পর্কে অনভিজ্ঞ ও অসচেতনতাসহ বিভিন্ন কারণে সড়কে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। শিশু ও শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে কেউই সড়ক দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। দুর্ঘটনা রোধে রাস্তা পারাপারে ফুটওভার ব্রিজ বা জেব্রাক্রসিং ব্যবহার করতে হবে। রাস্তা পারাপারে সবসময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। প্রয়োজনে সু-শৃঙ্খলভাবে ফুটপাত দিয়ে কিংবা রাস্তার ডান পাশ ঘেঁেষ হাঁটতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা সম্ভব না হলেও সচেতনতার মাধ্যমে কমিয়ে আনা সম্ভব। কোন সমস্যা দেখলে জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে সহযোগিতা নিতে হবে।তিনি বলেন, সড়কে দুর্ঘটনা রোধে শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে অভিভাবকদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি, শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের দিক-নির্দেশনা প্রদান, ধর্মীয় স্থাপনা ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রাখতে হবে। স্কুল-কলেজে প্রতিদিনের সমাবেশে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে আলোচনা করা জরুরি। প্রয়োজনে শিক্ষকেরা এ বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশের সহযোগিতা নিতে পারেন।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার জন্য শুধু চালকেরা এককভাবে দায়ী নয়। ডানে-বামে না দেখে হঠাৎ দৌড়ে রাস্তা পারাপার থেকে বিরত থাকতে হবে। দুর্ঘটনা থেকে রক্ষায় রাস্তায় হাঁটার সময় কিংবা পারাপারের সময় মোবাইল ও হেড ফোন ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। চলন্ত অবস্থায় যানবাহনে ওঠা-নামা করা যাবে না এবং যানবাহন থেকে নামার সময় অবশ্যই প্রথমে বাম পা সামনে দিয়ে নামতে হবে।ডিসি-ট্রাফিক বলেন, প্রাপ্তবয়স্ক (১৮ বছরের ঊর্ধ্বে) হওয়ার পর ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তি সাপেক্ষে মোটরসাইকেল বা অন্য কোন যানবাহন চালাতে হবে। তবে মোটরসাইকেল চালানোর সময় নিজের নিরাপত্তায় চালক ও আরোহীকে অবশ্যই হেলমেট ব্যবহার করতে হবে। সড়ক পরিবহণ আইন, ট্রাফিক সাইন, রোডসাইন জেনে গাড়ি চালালে দুর্ঘটনা অনেকটা হ্রাস পাবে। অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানকে মোটরবাইক কিংবা অন্য কোন গাড়ি চালানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
চট্টগ্রাম সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. অর্থদর্শী বড়ুয়ার সভাপতিত্বে ও ট্রাফিক ইনস্পেক্টর (টিআই-মুরাদপুর) এম ই¯্রাফিল মজুমদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ট্রাফিক-উত্তর বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ কাজী হুমায়ুন রশীদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের ইসলাম শিক্ষা বিভাগের প্রভাষক ড. মোহাম্মদ ওয়ালি উল্লাহ, পরিসংখ্যান বিভাগের প্রভাষক আব্দুল হালিম ও আইসিটি বিভাগের শিক্ষক মো. বরকত উল্লাহ। মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে ট্রাফিক সাইন ও নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতকরণ বিষয়ে ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করেন টিআই (প্রশাসন-উত্তর) মো. কামাল হোসেন।কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন টিআই (খুলশী) মো. সালাউদ্দিন মামুন, টিআই (চান্দগাঁও) উত্তম কুমার দেবনাথ, টিআই (বায়েজিদ) মো. আলমগীর হোসেন, ট্রাফিক সার্জেন্ট (লজিস্টিক) শিমুল মাহমুদ, ট্রাফিক সার্জেন্ট মো. আবদুল কাদের, ট্রাফিক সার্জেন্ট মো. মহিউদ্দিনসহ চট্টগ্রাম সরকারি স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও ট্রাফিক-উত্তর বিভাগের সদস্যবৃন্দ।
দেশকন্ঠ/এআর
আমাদের কথা
ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।