• মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ১৩:১৩    ঢাকা সময়: ২৩:১৩

আবারও সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : ভুটানি রেফারির ম্যাচ শেষের বাঁশি। কমলাপুর স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে দর্শকের উল্লাস। ডাগআউট থেকে কোচিং স্টাফরা ছুটছেন মাঠে। শামসুন্নাহাররাও ছুটছেন মাঠজুড়ে। নারীদের অনূর্ধ্ব-২০ সাফ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেছে বাংলাদেশ। গত বছরের সেপ্টেম্বরে কাঠমান্ডুতে নারী ফুটবলের জাতীয় দল স্বাগতিক নেপালকে হারিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার সেরা হয়েছিল। সেই টুর্নামেন্টের পর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল অনূর্ধ্ব-১৫ সাফ। টুর্নামেন্টে বাংলাদেশকে পরাজিত করে নেপাল চ্যাম্পিয়ন হয়। পাঁচ মাসের মধ্যে সাফ পর্যায়ে বাংলাদেশ-নেপালের তৃতীয় শিরোপা লড়াই হয় আজ। অ-১৫ পর্যায়ে ব্যর্থ হলেও অ-২০ টুর্নামেন্টে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলার মেয়েরা। নারী ফুটবলে বাংলাদেশ দল দক্ষিণ এশিয়ার বড় নাম। সেটি এখন প্রতিষ্ঠিতও। ২০১৭ সাল থেকে সাফের বয়স ভিত্তিক নারী টুর্নামেন্টের সবকটিতেই ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ। এটি দক্ষিণ এশিয়ায় নারীদের বয়স ভিত্তিক পর্যায়ে চতুর্থ শিরোপা।
 
কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়াম বাংলাদেশের নারী ফুটবলের জন্য পয়মন্ত ভেন্যু। বয়স ভিত্তিক সাফে এটি নারীদের তৃতীয় শিরোপা জয়ের ভেন্যু। এবারের অ-২০ টুর্নামেন্টে শুরুটা হয়েছিল নেপালকে হারিয়ে। ফাইনালে সেই নেপালের বিপক্ষেেই ৩-০ গোলে জিতেছে বাংলাদেশ। প্রথমার্ধে বাংলাদেশ ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে আরও এক গোল করে বাংলাদেশ। ৮৬ মিনিটে শাহেদা আক্তার রিপা বক্সের একটু সামনে থেকে দুর্দান্ত ফ্রি কিক নেন। ক্রসবারের সামনে থাকা উন্নতি খাতুন টোকা দিয়ে বল জালে পাঠান। ম্যাচের মূল টার্নিং পয়েন্ট ছিল প্রথমার্ধের শেষ পাঁচ মিনিট। ঐ পাঁচ মিনিটে বাংলাদেশ দুই গোল পায়। ৪২ মিনিটে শাহেদা আক্তার রিপা ও ইনজুরি সময়ে অধিনায়ক শামসুন্নাহার গোল করেন। প্রথমার্ধের ৩৬ মিনিটের দিকে একটি ভালো আক্রমণ করেছিল নেপাল। বাম প্রান্ত থেকে আসা বল বক্সের মধ্যে বিপজ্জনক জায়গায় পেয়ে যান আমিশা কারকির। তবে তার শট পোস্টের একটু পাশ দিয়ে চলে যাওয়ায় রক্ষা পায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধে নেপাল গোল পরিশোধের অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।
 
আগের তিন ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও বাংলাদেশের গোলরক্ষক রুপনা চাকমা তিনটি সেভ করেন। আজ অবশ্য শুরু থেকেই আক্রমণে যায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের একের পর এক আক্রমণ রুখে দেয় নেপাল। তবে ৪২ মিনিটে এসে আর রক্ষা হয়নি। গোল পেয়ে যান শাহেদা আক্তার রিপা। বাংলাদেশের সংঘবদ্ধ আক্রমণ ক্লিয়ার করতে গিয়ে নেপালের ডিফেন্ডার কুমারী তামাং রিপার পায়ে বল তুলে দেন। বক্সের মধ্যে বল পেয়ে রিপা আড়াআড়ি শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন। মিনিট তিনেক পর বাংলাদেশকে আরেকবার আনন্দের উপলক্ষ্য এনে দেন অধিনায়ক শামসুন্নাহার। আফিদার বাড়ানো বল নেপালী ডিফেন্ডাররা ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে পারেননি। বাংলাদেশের অধিনায়ক বল পেয়েই জোরালো শটে গোল করেন। প্রথমার্ধের শেষদিকে পাওয়া দুই গোল বাংলাদেশকে আত্মবিশ্বাসী করে এবং নেপালকে মানসিকভাবে পিছিয়ে দেয়। যেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি সফরকারীরা। বিপরীতে প্রতিপক্ষের জালে আরেক গোল দিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করে শামসুন্নাহাররা।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।