• শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ০৯:২২    ঢাকা সময়: ১৯:২২

স্থুলতা নানা রোগের সূচনা

  • স্বাস্থ্য       
  • ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩       
  • ৬৭
  •       
  • ২৩:৪০:৩৬

দেশকন্ঠ ডেস্ক : নগরজীবনে সময়মতো খাওয়া, বিশ্রাম কিংবা ঘুম কোনো কিছুই হয় না নিয়ম বা দেহঘড়িকে মেনে। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় শরীরে ভর করে অপ্রত্যাশিত স্থুলতা। দেখা দেয় হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, বন্ধ্যাত্ব কিংবা কিডনি ড্যামেজ থেকে শুরু করে ক্যান্সারের মতো রোগ।মোটা-তাজা-সুঠাম দেহ নয়, অতিরিক্ত চর্বি জমলে শরীর হয়ে ওঠে স্থুল। বাড়ে শারীরিক জটিলতাও।চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে, স্থুলতা এখন নানা রোগের সূচনা। নগর জীবনের বাস্তবতায় অতিরিক্ত ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়া হয় বেশি। অফিস ও ডেস্কভিত্তিক কর্মক্ষেত্রে কায়িক পরিশ্রম করা হয়ে ওঠে না অনেকেরই।বংশগত কারণে হরমোন গ্রন্থির নানা জটিলতা বা অতিরিক্ত ওষুধ সেবনেও স্থুল হয়ে যেতে পারে শরীর।বারডেম হাসপাতালের ডায়াবেটিস ও হরমোন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মোহাম্মদ ফারুক পাঠান বলেন, “শরীরের মেটাবলিজমে পরিবর্তন নয়, হরমোনে পরিবর্তন আসছে। পরিপাকতন্ত্রে অনেক রস তৈরি হয়, বিভিন্ন হরমোনের গ্লান থেকে রস তৈরি হয়- এই রসের মধ্যে আমাদের সমস্ত সিস্টেমটা চলে। কিছু রস আছে ভালো কিছু রস আমাদের ক্ষতি করে।” পুরুষদের তুলনায় নারীদের স্থুলতার হার বেশি। অন্য রোগগুলোর পাশাপাশি তাদের শরীরে বাসা বাধে অনিয়মিত পিরিয়ড, পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোমও।

অধ্যাপক মোহাম্মদ ফারুক পাঠান বলেন, “এই পরিবর্তনের বহিঃপ্রকাশ হলো রোগ সৃষ্টি হওয়া। তার মধ্যে মেটাবলিজ ডিজেজ হিসেবে ডায়াবেটিস, ব্লাডপ্রেসার হাই, রক্তে চর্বি বেশি, সেক্স হরমোনের পরিমাণও কমে যাচ্ছে।” বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির আবাসিক চিকিৎসক ডাক্তার মোহাম্মদ মাসুমুল হক বলেন, “স্থুলতা যেটা বলছি, এটার সঙ্গে ক্যান্সারের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। নারীদের ক্ষেত্রে ব্রেস্ট ক্যান্সার, ওভারিয়েন ক্যান্সার, প্যান ক্রিয়েটিক ক্যান্সার এবং পরুষের ক্ষেত্রে লাঞ্চ ক্যান্সারের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে ওবেসিটির একটা সম্পর্ক রয়েছে।”স্থুলতা কমাতে প্রয়োজন নিয়মিত কায়িক পরিশ্রম ও ব্যায়াম এবং চর্বিযুক্ত ও ফার্স্টফুড পরিহারসহ পুষ্টিকর খাবার খাওয়া।চিকিৎসক ডাক্তার মোহাম্মদ মাসুমুল হক বলেন, “ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি এবং খাদ্যাভাস- এই দুটোর কেন্দ্রস্থল হচ্ছে স্থুলতা।
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।