• বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ১৪:২০    ঢাকা সময়: ০০:২০

ভারতে কাউ হাগ ডে প্রত্যাহার

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসে গরুকে আলিঙ্গন করতে হবে, এই কর্মসূচির বার্তা দিয়েছিল ভারতের সরকার। এরপর থেকেই ভয়ে অনেকের রাতের ঘুম হারাম হয়ে গিয়েছিল। গরু যদি গুঁতিয়ে দেয়? কাউ হাগ ডে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাল্লা দিয়ে বাড়ছিল মিমস ও মজার মজার কন্টেন্ট। পুরো ভারতজুড়ে চরম আপত্তিতে অবশেষে সেই নির্দেশটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে এর পেছনে কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি। নতুন নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে ১৪ ফেব্রুয়ারি কাউ হাগ ডে প্রত্যাহার করা হচ্ছে। এই ঘটনায় এই প্রস্তাব প্রত্যাহার করেছে ভারতের এনিমেল ওয়েলফেয়ার বোর্ড। অর্থাৎ ভালোবাসা দিবসে সরকারি নির্দেশ মেনে গরুকে আর জড়িয়ে ধরতে হবে না কাউকে।
 
এদিকে পাশ্চাত্য সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে গরু প্রেমীদের ভালোবাসা দিবসে ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে গরুকে আলিঙ্গন করার কথা জানিয়েছিল সে দেশের সরকার। এতে কামধেনু ও গো মাতার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ বলেছিলেন সবারই গরুকে ভালোবাসা দরকার। একে ভালো উদ্যোগ বলেও উল্লেখ করেছিলেন তিনি। এদিকে বঙ্গ বিজেপির অনেকেই সেই সুরে সুর মিলিয়ে কাউ হাগ ডে পালনের প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন। একেবারে স্বদেশী কায়দায় ভ্যালেন্টাইন ডে উদযাপনের উদ্যোগ।
 
কিন্তু এসবের মধ্যেই অনেকেই প্রশ্ন তুলছিলেন গরুকে জড়িয়ে ধরতে গেলে যদি গুঁতিয়ে দেয়? তবে শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করল কেন্দ্র। এইদিনে গরুকে আর জড়িয়ে ধরতে হবে না। সিপিএম সাংসদ তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেছেন, গরুকে আলিঙ্গন করতে হবে এই যুক্তি কার মাথা থেকে এল? তাকে খুঁজে বের করে মানুষের সামনে ছেড়ে দেওয়া হোক । কারণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা গেছে, যখন কেউ গরুকে আলিঙ্গন করতে গেছে তখনই মা তাদেরই গুঁতিয়ে দিয়েছে। যাই হোক এতদিনে সুবুদ্ধি হলো ওদের।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।