দেশকন্ঠ ডেস্ক : শিশু শ্রেণির ২০০ শিক্ষার্থীকে ফুল, চকলেট ও আবির দিয়ে বরণ করে নেন বিদ্যালয় কতৃপক্ষ। উদ্যোগটি ব্যতিক্রমী। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ধরণের সংস্কৃতি এখনো চালু হয়নি বলেই আজ এখানে শিশুরা হয়ে উঠেছিলো উচ্ছ্বসিত আর অভিভাবকরা আনন্দিত এবং উদ্বেলিত। সোমবার সকালে জেলা শহরের এসএম মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণির কচি-কাঁচাদের বরণ করে নেয়া হয়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুরাইয়া খানমসহ শিক্ষক মন্ডলীর সদস্যরা শিশু শ্রেণির ২০০ শিক্ষার্থীকে ফুল, চকলেট ও আবির দিয়ে বরণ করে নেন। পরে পরিবেশন করা হয় শিশুতোষ সংগীত। সংগীতের সাথে নেচে গেয়ে শিশুরা উৎসব মুখর পরিবেশ শ্রেণি কক্ষে প্রবেশ করে। এ সময় শিশুদের সাথে শিক্ষক ও অবিভাবকরা উদ্বেলিত হয়ে ওঠেন। বিদ্যালয় পরিচালনা পর্যদের সভাপতি মো. মহিদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত নবীণ বরণ অনুষ্ঠানে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুব্রত কুমার সাহা, স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম মিটু, স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুরাইয়া খানমসহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন।স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুরাইয়া খানম বলেন, প্রতি বছরই আমরা শিশুদের এভাবে বরণ করে নেই। এতে তাদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়। শিশুরাই দেশের ভবিষ্যত। তারা যাতে সু-নাগরিক হয়ে দেশের সেবা করতে পারে, আমরা তাদের সেই শিক্ষা দেই। পাশাপাশি খেলাধূলা, সংস্কৃতি, মেধার সৃজনশীল চর্চার মাধ্যমে আনন্দের সাথে শিক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা এ বিদ্যালয়ে রয়েছে।
অভিভাবক জলি খানম বলেন, এটি একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। প্রাইমারি স্কুলে এই ধরণের সংস্কৃতি নেই। আমাদের ছেলে-মেয়েদের মনোরম পরিবেশে বরণ করে নেয়া হয়েছে। এতে তারা উচ্ছ্বসিত। আমরাও আনন্দিত এবং উদ্বেলিত। আমাদের ছেলে-মেয়েরা এই স্কুলে খেলাধূলা ও আনন্দের সাথে শিক্ষা গ্রহণ করবে। এখানে প্রধান শিক্ষক সুরাইয়া খানম সেই পরিবেশ করে দিয়েছেন। এখান থেকেই তাদের সুনাগরিক হয়ে গড়ে ওঠার প্রথম পাঠ শুরু হয়েছে। তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে প্রাধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বে। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুব্রত কুমার সাহা বলেন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ২৬৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। মডেল স্কুলের আদলে সব বিদ্যালয়ে এই আয়োজন করা হলে শিক্ষার্থীরা উদ্বুদ্ধ হবে।
দেশকন্ঠ/এআর