দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : ফুলচাষিরা বছরজুড়ে অপেক্ষায় থাকেন ফেব্রুয়ারি মাসের। কারণ একটি মাসেই পুরো বছরের ব্যবসা করে নেন তারা। করোনা মহামারির কারণে গত কয়েক বছর ব্যাপক লোকসান হয়েছিল তাদের। তবে গত কয়েক বছরের লোকসান এবার পুষিয়ে নেওয়ার আশা। বসন্ত বরণ ও ভালোবাসা দিবসে ফুলের রাজধানী যশোরের ঝিকরগাছার গদখালি ফুলের বাজারে মোট ২৫ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে সোমবার তিন কোটি টাকার ফুল বিক্রি হয়। সোমবার গদখালির ফুল বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সব ধরনের ফুলের দাম চড়া। এদিন পাইকারি বাজারে গোলাপ ফুল প্রতি পিস বিক্রি হয়েছে ২০-২৫ টাকা, চায়না গোলাপ প্রতি পিস ৩০-৪০ টাকা, জারবেরা ফুল প্রতি পিস ১২-১৫ টাকা, রজনীগন্ধা স্টিক প্রতি পিস ১০-১৩ টাকা, গ্লাডিওলাস প্রতি পিস ১০-১৫ টাকা, চন্দ্রমল্লিকা প্রতি পিস ৪ টাকা, জিপসি প্রতি আটি ২৫ টাকা, গাঁদা ফুল প্রতি হাজার ৪০০ টাকা ও লিলিয়াম প্রতি পিস বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা করে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার ফুলের দাম বেশি। গদখালিতে যে গোলাপ (প্রতি পিস) ২০-২৫ টাকায় কিনতে হচ্ছে, সেটা ঢাকা কিংবা চট্টগ্রামে কমপক্ষে ৬০-১০০ টাকায় কিনতে হবে। বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি আবদুর রহিম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত গদখালির ফুলের পাইকারি বাজারে মোট ২৫ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হয়েছে। শুধুমাত্র সোমবার একদিনেই প্রায় ৩ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হয়েছে এ বাজারে। এছাড়া ভালোবাসা দিবসকে সামনে রেখে সোমবার পর্যন্ত মোট ১০ কোটি টাকার গোলাপ ফুল বিক্রি হয়েছে। সোমবার গদখালি ফুলের বাজার থেকে প্রায় ১৫ থেকে ২০ ট্রাক ফুল ঢাকা ও চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। আব্দুর রহিম আরও জানান, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস, বসন্ত বরণ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে সামনে রেখে গদখালিতে ৭০ কোটি টাকার ফুল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। ভালোবাসা দিবসের আগ পর্যন্ত ২৫ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হয়েছে। ২১ শে ফেব্রুয়ারির আগ পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে বলে আমরা আশাবাদী।
দেশকন্ঠ/অআ