• সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ১৮:৫০    ঢাকা সময়: ০৪:৫০

মাধবকুণ্ড ইকোপার্কের মাস্টারপ্ল্যান অনুমোদন

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, মাধবকুণ্ড ইকো-পার্ক এলাকার জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, টেকসই ব্যবস্থাপনা এবং চিত্তবিনোদনের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে ইকো-ট্যুরিজমসহ সার্বিক উন্নয়নের জন্য মাস্টারপ্ল্যান অনুমোদন করা হয়েছে বুধবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলা মাধবকুণ্ড ইকোপার্কের মাস্টারপ্ল্যান অনুমোদন উপলক্ষে আয়োজিত সভায় পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, মাধবকুণ্ড এলাকার প্রকল্প কার্যক্রম সফলভাবে সমাপ্তির পর নিঃসন্দেহে দর্শনার্থীর সংখ্যা দিনে দিনে বাড়বে, বনায়ন কার্যক্রম, ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ ও রাজস্ব আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশে ব্যাপক সম্পদ সৃষ্টি হবে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় জানায়, বিদ্যমান ভূমির ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনা ওপর ভিত্তি করে প্রস্তাবিত এলাকাকে ৩টি জোনে বিভক্ত করা হবে। ছড়া, পাহাড়ের ঢালসহ বনভূমি ও বনভূমির আশেপাশের ক্যাচমেন্ট এরিয়ায় ইত্যাদির সংরক্ষণের জন্য একটি বন সংরক্ষণ জোন থাকবে। যেখানে বিরল ও সংকটাপন্ন  প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণীদের সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে। উক্ত বন সংরক্ষণ জোনের মোট আয়তন হবে ৯২৫ একর।  প্রকল্প এলাকায় তথ্য কেন্দ্র, জাদুঘরসহ বিবিধ সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন একটি ইকোটুরিজম জোনের প্রস্তাব করা হয়েছে। পার্ক এলাকায় মধ্যে ইকোটুরিজম জোনটির আয়তন হবে ৩.৯৬ একর।
 
তিনি আরও জানান, প্রস্তাবিত মাস্টারপ্ল্যানে আউটডোর বিনোদনের জন্য ইকোপার্ক এলাকার বাইরে ব্যক্তিগতভাবে ছোট রিসোর্ট, কটেজ, কনভেনশন হল বা মিটিং ফ্যাসিলিটি সম্পন্ন অবকাঠামো নির্মাণের জন্য একটি বর্ধিত ইকোটুরিজম জোনের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা এই প্রকল্পে নতুন মাত্রা যোগ করছে। উক্ত বর্ধিত ইকোটুরিজম জোনের আয়তন হবে ৩৯১ একর। উল্লেখ্য, মাস্টারপ্ল্যানের আওতায় মাধবকুণ্ডে দর্শনার্থীদের জন্য ক্যাবল কার স্থাপন করা হবে। এছাড়াও জলপ্রপাত ফুট ট্রেইল, নৃতাত্ত্বিক জাদুঘর, মসজিদ, রেস্টুরেন্ট, কফি কর্নার, বিশ্রামের জায়গা ছাউনিসহ বসার স্থান এবং প্রধান পার্কিং এলাকায় ৫ টি স্যুভেনির শপ নির্মাণ করা হবে। এছাড়াও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্ল্যান্ট, কেন্দ্রীয় বাস ও কার পার্কিং, চিলড্রেন’স কর্নার, হালকা যানবাহনের পার্কিং, প্রজাপতি পার্ক, এনরিচমেন্ট বাগান, বিদ্যমান স্থাপনার পুনর্বাসন করা হবে। পার্ক এলাকায় পানি সরবরাহ, পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ সরবরাহ, সীমানা প্রাচীর, ব্যক্তি মালিকানাধীন ভূমিতে ইকো লজ, নিরাপত্তা চৌকি স্থাপন,জলপ্রপাত পর্যবেক্ষণ প্ল্যাটফর্ম, ছড়ার পাশ দিয়ে সংরক্ষণ মূলক, প্রাথমিক চিকিৎসা/ জরুরি উদ্ধার কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। 
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।