দেশকন্ঠ প্রতিবেদক : রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীসহ রাষ্ট্র ও সরকারের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার উন্মুক্ত হয় সাধারণের জন্য। শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা, ছিলেন বিদেশিরাও।২১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাত ১২টা ১ মিনিটে (প্রথম প্রহরে) মহান শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। পরে পর্যায়ক্রমে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রীরা, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও বিরোধী দলীয় নেতা।এরপর পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তিন বাহিনীর প্রধান, ভাষা সৈনিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, অনুষদের ডিন ও হলের প্রাধ্যক্ষরা।এরপর সর্বস্তরের জনসাধারণের শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় শহীদ মিনার। শ্রদ্ধা জানাতে আসা এসব মানুষের হাতে ছিল নানান রকমের ফুল।
কেউ শুধু একটি করে গোলাপ আবার কেউ ফুলের তোড়া ও ডালায় নিজেদের সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের নাম লিখে প্রবেশ করেন শহীদ মিনারে। তাদের বেশিরভাগের পরনে ছিল কালো পাঞ্জাবি, শাড়ি। অনেকে বুকে লাগিয়েছেন কালো ব্যাজ।তবে নতুন প্রজন্মের ক্ষোভ ছিল, এতো বছর পরও সর্বস্তরে চালু হয়নি বাংলা ভাষা।১৯৫২ সালে বাংলা ভাষার জন্য যারা জীবন দিয়েছিলেন, তাদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সাধারণ মানুষের ঢল নামে।ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় বিভিন্ন রাজনেতিক দল ও প্রতিষ্ঠান। বাংলা ভাষার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিতের দাবি নতুন প্রজন্মের।শ্রদ্ধা নিবেদনের পর ভাষাশহীদ আব্দুর জব্বারে পরিবারের সদস্যরাও বলেন, বাংলা ভাষা ব্যবহারে আরও যত্নবান হওয়া দরকার।শ্রদ্ধা নিবেদনে আসেন বিদেশিরাও।ভাষার এই মাসে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে নির্মূলের আহবান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের।১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন বাঙালির স্বাধীনতা লাভের বীজ বপন বলেও মন্তব্য সবার।
দেশকন্ঠ/এআর