• বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ০৭:২৭    ঢাকা সময়: ১৭:২৭

বিদায়টা মধুর হলো না সানিয়ার

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : বিদায়টা মধুর হলো না ভারতীয় টেনিস তারকা সানিয়া মির্জার। দুবাই ডিউটি ফ্রি টেনিস প্রতিযোগিতার প্রথম রাউন্ডেই হেরে গেলেন সানিয়ারা। তার ও ম্যাডিসন কিজের জুটি ৪-৬, ০-৬ ব্যবধানে হারল ভার্নোকিয়া কুদেরমেতোভা-লিউডমিলা সামসোনোভা জুটির কাছে। এই পরাজয়ের সঙ্গে সঙ্গেই শেষ হলো সানিয়ার দুই দশকের বর্ণময় টেনিসজীবন। দুবাইয়ের প্রতিযোগিতা খেলে টেনিস র‌্যাকেট তুলে রাখার কথা আগেই ঘোষণা করে ছিলেন ছয়টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী সানিয়া। খেলোয়াড় জীবনের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেলতে নেমেছিলেন গত জানুয়ারিতে। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে নারীদের ডাবলসে দ্বিতীয় রাউন্ডে হেরে গেলেও মিক্সড ডাবলসের ফাইনালে উঠেছিলেন রোহন বোপান্নাকে নিয়ে। যদিও শেষবার খেতাব অধরা থেকে গেছে সাবেক চ্যাম্পিয়নের। দুবাইয়েও ভক্তদের আশা পূরণ করতে পারলেন না ভারতের সর্বকালের সেরা নারী টেনিস খেলোয়াড়। তাদের জুটি প্রথম সেটে কিছুটা লড়াই করলেও দ্বিতীয় সেটে প্রত্যাশিত মতো লড়াই করতে পারেনি।
 
মঙ্গলবার টেনিস কোর্টে দাপিয়ে খেলা সানিয়া বুধবার থেকে সাবেক। সানিয়া নিঃসন্দেহে ভারতের সর্বকালের সেরা টেনিস খেলোয়াড়। ভারতের মেয়েরা বিশ্বপর্যায়ে টেনিস খেলতে পারে, তা সানিয়েই প্রথম প্রমাণ করেছিলেন। লিয়েন্ডার পেজ, মহেশ ভূপতি পরবর্তী ভারতীয় টেনিসকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন তিনিই। সেই যাত্রা শেষ হলো দুবাইয়ে। ২০০৩ সালে পেশাদার টেনিসে পা রাখার পর থেকেই সানিয়া শুধু ভারতের নয়, হয়ে উঠেছিলেন এশিয়ার নারী টেনিসের মুখ। এক সময় সেরিনা উইলিয়ামস, মারিয়া শারাপোভাদের সঙ্গেই উচ্চারিত হতো সানিয়ার নাম। কিন্তু বার বার চোট আঘাত তাকে সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। সিঙ্গলস ছেড়ে ডাবলসকে বেছে নেন প্রতিযোগিতামূলক টেনিসের জন্য। গত কয়েক বছর বিশ্ব টেনিসের আঙিনায় সানিয়াই ছিলেন ভারতের একমাত্র প্রতিনিধি। বাকি যারা আছেন, তারা কেউ সর্বোচ্চ পর্যায় নিজেদের উন্নত করতে পারেননি। ফলে সানিয়ার ছায়া থেকেও বেরিয়ে আসতে পারেননি। ৩৬ বছরের সানিয়া নিজের ইচ্ছা ও শর্তে বেছে নিয়েছেন অবসরের সময়। সেই অধিকার তিনি অর্জন করেছেন কঠোর পরিশ্রম, অধ্যাবসায়, একাগ্রতা ও সাফল্য দিয়ে।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।