দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : আস্থা সংকটের কারণে দেশের অর্থনীতিতে বিমা খাতের অবদান ১ শতাংশের নিচে। দেশের অর্থনীতিতে বিমার অবদান বাড়ানো এবং বিমা সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য প্রতি বছরের মতো এবছরও জাতীয় বিমা দিবস পালন করছে সরকার। বুধবার (১ মার্চ) ‘আমার জীবন আমার সম্পদ, বিমা থাকলে নিরাপদ’ এ প্রতিপাদ্যে বিমা দিবস উপলক্ষে সরকারের অর্থমন্ত্রণালয়ের আর্থিক বিভাগ ও বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষে (আইডিআরএ) দেশব্যাপী কর্মসূচির আয়োজন করেছে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দিবসটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সকাল ১০টায় শুরু হবে। ১১টার দিকে ভাষণ শেষে বিমা দিবসের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহম্মদ সলীম উল্লাহ। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবেন বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) সভাপতি শেখ কবির হোসেন ও আইডিআরএর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী।
উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকার সময়ে সর্বস্তরের জনগণকে সংগঠিত করার মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা অর্জনের এক সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ১৯৬০ সালের ১ মার্চ তৎকালীন আলফা ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে এ অঞ্চলের প্রধান হিসেবে যোগদান করেন। আর এ তারিখটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি আইডিআরএ আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকার ১ মার্চ কে ‘জাতীয় বীমা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেন। এরপর থেকে প্রতি বছরের এদিনে বিমা দিবস উত্থাপন করা হয়। আইডিআরএ তথ্য মতে, দেশের বিমা খাতে জীবন ও সাধারণ বিমা কোম্পানির সংখ্যা ৮১টি। এ কোম্পানিগুলোতে গ্রাহকদের বিমার সংখ্যা রয়েছে ৮৮ লাখ ৬৮ হাজার ৪৩৬টি। অথচ ২০২১ সালেও বিমা সংখ্যা ছিল ৯৪ লাখ ২৩ হাজার ৪৬৫টিতে। অর্থাৎ ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে ৬ লাখ বিমা কমেছে। সাড়ে ১৭ কোটি মানুষ ও দেশের সম্পদের মাত্র ৮৮ লাখ বিমা রয়েছে। যা সম্পদ ও জনসংখ্যার দিক থেকে অতি সামান্য।
দেশকন্ঠ/অআ