দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : বহুল কাঙ্ক্ষিত মিরপুরের বাণিজ্যিক এলাকায় মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ নম্বর স্টেশনের গেট সকাল ৮টায় খুলে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে মিরপুর এবং আগারগাঁওয়ের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো একধাপ এগিয়ে গেল। বুধবার (১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৭টা থেকে স্টেশন এলাকায় দেখা যায়, কোনো যাত্রী এই স্টেশনের গেটে এসে অপেক্ষা করেননি। ৭টা ৫৫ মিনিটের দিকে কয়েকজন যাত্রীকে গেটের সামনে আসতে দেখা যায়। তবে গেট খুলে দেওয়ার পর যাত্রীদের মেট্রো স্টেশনে প্রবেশ করার জন্য কোনো লাইন ধরতে হয়নি। এদিকে মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ নম্বর স্টেশনের সব প্রস্তুতি আগে থেকেই সম্পন্ন করা ছিল। ভেতরে ঢুকে রোভার স্কাউটদের যাত্রীদের সহযোগিতা করছে দেখা গেছে। এছাড়া ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) কর্তৃপক্ষের সদস্যরাও যাত্রীদের সহায়তা করছেন বিভিন্ন বিষয়ে।
সকালে যাত্রীদের ভিড় না থাকলেও মেট্রো স্টেশনে প্রবেশ করা যাত্রীরা বলছেন, এই স্টেশনটি অনেকটাই যাত্রী ধরে রাখতে সক্ষম হবে। কারণ এটিই হচ্ছে মেট্রোরেলের মিরপুর এলাকার সবচেয়ে ব্যস্ত এলাকা। বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন মিরপুর-১০ এ নম্বরে আসেন। মিরপুর-১০ নম্বর এলাকার বাসিন্দা ওমর ফারুক বলেন, আমার অফিস উত্তরায়, আমাকে নিয়মিত যাতায়াত করতে হয়। আগে পল্লবী থেকে মেট্রোতে উঠতাম, আজ এখান থেকে উঠতে শুরু করলাম। তিনি আরও বলেন, রমজান মাসের কথা চিন্তা করে আমি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করবো, ওই সময় তারা যেন বিকেল-সন্ধ্যায়ও মেট্রোরেল চালায়।
স্টেশনে আসা যাত্রী নাদিম বলেন, মূলত আমরা নরসিংদীর মাধবদী থেকে খেলা দেখতে (বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড) মিরপুরে এসেছি। আর গণমাধ্যম সূত্রে গতকালই জেনেছি আজ থেকে মিরপুর-১০ নম্বরের মেট্রোরেলের স্টেশনটি চালু হবে। তাই রথ দেখা ও কলাবেচার মতো অবস্থা। আমরা কিছুক্ষণ আগে এসেছি। এখন মেট্রোরেলের চড়ে একটু ঘোরাফেরা করব, তারপর স্টেডিয়ামে চলে যাব। পঞ্চাশোর্ধ্ব মিরপুর-১০ নাম্বার এলাকার বাসিন্দা মোরশেদ আলম বলেন, আমি এ এলাকার বাসিন্দা। কোনো কাজে না, আপাতত ঘুরতে যাচ্ছি। এখন আগারগাঁও পর্যন্ত যাবো এবং আসবো। এর আগে আগারগাঁও থেকে আমি উত্তরা গিয়েছি এবং এসেছি। মিরপুর-১০ থেকে উত্তরা স্টেশনের ভাড়া ৪০ টাকা এবং আগারগাঁওয়ের ভাড়া ২০ টাকা।
দেশকন্ঠ/অআ