দেশকন্ঠ ডেস্ক : শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে গুণগত উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করা জরুরি।তিনি বলেন, মালয়েশিয়ার ইউসিএসআই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশে যাত্রা শুরুর মাধ্যমে দুদেশের সম্পর্ক আরো জোরদার হবে এবং উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রেও পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়বে।আজ বুধবার রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে মালয়েশিয়ার শীর্ষ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে প্রথম আন্তর্জাতিক ক্যাম্পাসের উদ্বোধন শেষে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।আয়োজিত অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি এ বক্তব্য রাখেন। এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বক্তৃতা করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-চ্যান্সেলর টুংকু জাইন আল-আবিদিন, বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাই কমিশনার হাজনাহ হাশিম, ইউসিএসআই বাংলাদেশ ক্যাম্পাসের চেয়ারম্যান মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামান ও সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট আরিফুল বারী মজুমদার। এতে আরো বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের মহাপরিচালক মো. নাজমুল হুদা, ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশ ক্যাম্পাসের পরিচালক মো. আফজাল হোসেন, পরিচালক আনিজা পারভীন, উপ-উপাচার্য ড. সিতি হামিসাহ বিনতি তাপসির, বিশ্ববিদ্যালয়টির বাংলাদেশ ক্যাম্পাসের স্ট্র্যাটেজিক কনসালটেন্ট শাহীন রেজা প্রমুখ।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি গত বছরের ১২ ডিসেম্বর প্রথম শাখা ক্যাম্পাস হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদন লাভ করে। এর ক্যাম্পাস রাজধানীর বনানীতে স্থাপন করা হয়েছে। গত ৩ ফেব্রুয়ারি মালয়েশিয়ার উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী দাতো সেরি মোহাম্মদ খালেদ নরডিন কুয়ালামপুরের মূল ক্যাম্পাসে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশে শাখা ক্যাম্পাস চালুর ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি রাংকিংয়ে-২০২৩ এ বিশ্ববিদ্যালয়ের এর রেটিং ২৮৪। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, রাজধানীর বনানীতে ৪৫ হাজার বর্গফুটের ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়টির ২৪টি ডিগ্রি এবং মাস্টার্স প্রোগ্রাম রয়েছে। এরমধ্যে কম্পিউটার বিজ্ঞান, ব্যবসা, প্রকৌশল, স্থাপত্য, সামাজিক বিজ্ঞান এবং ডিজাইনের বিষয়গুলো অন্যতম। ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টির কুয়ালালামপুর মূল ক্যাম্পাসে ১০০ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন।ইউসিএসআই এর বাংলাদেশ ক্যাম্পাস আগামী সাত বছরের মধ্যে নিজস্ব ক্যাম্পাসে স্থানান্তরিত হবে। যেখানে ২ লাখ বর্গফুটের বেশি আধুনিক স্থাপনার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়টি বর্তমানে বাংলাদেশ ছাড়াও মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর, কুচিং, এবং পোর্ট ডিকসনে তিনটি ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে।
দেশকন্ঠ/এআর