দেশকন্ঠ ডেস্ক : জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) আজ চলতি অর্থ বছরের জন্য ২,২৭,৫৬৬.০৯ কোটি টাকার সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (আরএডিপি) অনুমোদন দিয়েছে। এতে মূল এডিপি’র মোট বৈদেশিক উৎসের বরাদ্দ থেকে ১৮.৫০০ কোটি টাকা বাদ দেয়া হয়েছে। মোট আরএডিপি বরাদ্দের মধ্যে ১,৫৩,০৬৬.০৯ কোটি টাকা পাওয়া যাবে স্থানীয় উৎস থেকে। বাকি ৭৪.৫০০ কোটি টাকা পাওয়া যাবে বৈদেশিক উৎস থেকে। আরএডিপি’তে স্থানীয় উৎস থেকে প্রাপ্ত তহবিল অপরিবর্তিত থাকবে। এনইসি চেয়ারপার্সন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ নগরীর শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় এই অনুমোদন দেয়া হয়। পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, সংশোধিত এডিপি’তে সংশ্লিষ্ট স্বায়িত্বশাসিত সংস্থা ও কর্পোরেশনে সার্বিক বরাদ্দ ৮,৯৯৪.৫৮ কোটি টাকা অপরিবর্তিত রয়েছে। সেটা সমেত চলতি অর্থ বছরে আরএডিপি’র আকার দাড়াবে ২,৩৬,৫৬০.৬৭ কোটি টাকা। তিনি বলেন, আরএডিপি’তে প্রকল্পের সংখ্যা দাড়িয়েছে ১,৫২৫ টি। এর মধ্যে ১,৪১০টি বিনিয়োগ প্রকল্প এবং ১১৫টি কারিগরি সহায়তা প্রকল্প। তবে স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা ও কর্পোরেশনের ১০২টি প্রকল্প যোগ করা হলে আরএডিপি’তে প্রকল্প সংখ্যা হবে ১৬২৭টি। অন্যান্য বছরের ন্যায় এ বছরেও দেশের সম্পদ, বৈদেশিক অর্থায়ন ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের সংশোধিত এডিপি প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিৎ কর্মকার বলেন, বরাদ্দ প্রদানের ক্ষেত্রে বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় রেখে খাদ্য নিরাপত্তার লক্ষ্যে কৃষি, কৃষিভিত্তিক শিল্প, বিদ্যুৎ খাত, দারিদ্র হ্রাসকরণ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ সংক্রান্ত প্রকল্পে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। তিনি জানান, আরএডিএপি’তে প্রায় ২১ টি মন্ত্রনালয় ও বিভাগে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে এবং ৩৭ টি মন্ত্রনালয় ও বিভাগে বরাদ্দ কমানো হয়েছে। চলতি অর্থ বছরে প্রায় ৩৪৩টি প্রকল্প কাজ সম্পন্ন হবার কথা রয়েছে। সংশোধিত এডিপি’তে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে সবোর্চ্চ বরাদ্দ ৬১.৮১০ কোটি টাকা রাখা হয়েছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতে ৩৮.৩১৭ কোটি টাকা, গৃহায়ন ও কমিউনিটি ফ্যাসিলিটিতে ২৫,৯৩৯ কোটি টাকা, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়নে ২০.২৩১ কোটি টাকা, শিক্ষায় ১৮.৪৩১ কোটি টাকা, স্বাস্থ্যে ১২.৭৪৫ কোটি টাকা, পরিবেশ, জলবায়ু ও পানি সম্পদ খাতে ১২.৬০০ কোটি টাকা, কৃষিতে ৯.৩৯৪ কোটি টাকা,শিল্পে ৪.৬৮৯ কোটি টাকা এবং ধর্ম সংস্কৃতি ও এন্টারটেইনমেন্ট খাতে ৪.২৭১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মন্ত্রনালয় ও বিভাগ ওয়ারি বরাদ্দের ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার বিভাগে সবোর্চ্চ বরাদ্দ ৩৯.৫৬৩ কোটি টাকা এবং এর পরেই সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে ২৯.৮৯৭ কোটি টাকা ও বিদ্যুৎ বিভাগে ২৫.২৪৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।সভায় মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবর্গ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভণর, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যবৃন্দ এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও সচিববৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
দেশকন্ঠ/এআর