দেশকন্ঠ ডেস্ক : ক্যান্সার নিয়ে গবেষণা, ওষুধের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল এবং উচ্চশিক্ষা ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রশিক্ষণসহ নানা বিষয়ে ঔষধ শিল্পের খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান বিকন ফার্মাসিটিক্যালের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক চুক্তি হয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী ডিসিপ্লিনের (এমওইউ)। ১০ বছর মেয়াদী চুক্তিটি ৩ মার্চ স্বাক্ষরিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে স্বাক্ষর করেন ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী এবং বিকন ফার্মার মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান মোঃ আনিসুর রহমান। পরে তা বিকন ফার্মাসিউটিক্যালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মাদ এবাদুল করিম ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেনের কাছে হস্তান্তর করা হয়।স্বাক্ষরিত এমওইউতে শিক্ষা, গবেষণা এবং প্রশিক্ষণের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়। এগুলো হলো- খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে মলিকুলার ল্যাবরেটরি সুবিধা রয়েছে তাতে বেশ কিছু মিউটেশন পরীক্ষা করার জন্য প্রোটোকল স্থাপন করা হবে। যা সাধারণত ক্যান্সারে পাওয়া যায় (EGFR ,PDL-1, BRCA-1, BRCA-2 ইত্যাদি)।
প্রোটোকলের সফল সমাপ্তির উপর ভিত্তি করে বিশ্বব্যাপী স্থানীয় রোগীর ক্যান্সার টিস্যু, রক্তের নমুনা তাদের কাছে আরও পরীক্ষার জন্য পাঠানো যেতে পারে।এছাড়া এমওইউতে গবেষণা ক্ষেত্র-ভিত্তিক জার্নালগুলোর জন্য সহযোগিতামূলক প্রকাশনা, যারা বিকনের ক্যান্সারবিরোধী ওষুধ ব্যবহার করেন তাদের রোগীদের ক্লিনিকাল ট্রায়াল ডেটা বা পর্যবেক্ষণমূলক অধ্যয়নের ডেটা প্রকাশ, ইন ভিট্রো এবং ইন ভিভো (প্রাণি মডেল) বিভিন্ন ক্যান্সারবিরোধী ওষুধের পরীক্ষা পরিচালনা এবং আশাব্যঞ্জক ফলাফল প্রকাশ, নতুন অণু এবং চিকিৎসা পদ্ধতির সন্ধানের জন্য শিল্পকে সমর্থন করার জন্য আপডেট করা, ইনফরমেশন এবং নলেশ শেয়ারিংয়ের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এছাড়া ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং এবং ইন্টার্ন হিসাবে স্থানীয়/গ্লোবাল মার্কেটিং-এ প্রকল্প কাজের জন্য স্টুডেন্ট প্লেসমেন্ট, সেমিনার, চাকরি মেলা, শিল্প বিশেষজ্ঞদের দ্বারা সার্টিফিকেশন ওয়ার্কশপ এবং প্রয়োজন অনুসারে সংশ্লিষ্ট সেশনের ব্যবস্থাও উক্ত এমওইউতে উল্লেখ রয়েছে।এ বিষয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন বলেন, এই এমওইউ স্বাক্ষরের ফলে ফার্মেসী ডিসিপ্লিনে গবেষণার নতুন নতুন দ্বার উন্মোচিত হলো। ফার্মেসী ডিসিপ্লিনের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ায় তিনি বিকন ফার্মাসিটিক্যালকে ধন্যবাদ জানান।একই সঙ্গে বিকনের মতো দেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান উপাচার্য।
দেশকন্ঠ/এআর
আমাদের কথা
ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।